কলকাতা, 19 অগস্ট: 1964 সালে যখন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁরা ভর্তি হয়েছিলেন, সেই সময় ছাত্রছাত্রীরাই ছিলেন প্রতিষ্ঠানের মূল স্তম্ভ ৷ ফ্যাকালটি থেকে পড়ুয়া সকলের মধ্যে সম্পর্ক ছিল স্নেহের এবং আত্মিক ৷ 56 বছর পেরিয়ে গিয়েছে ভালোবাসার 'বাড়ি' ছেড়ে বেরিয়েছেন তাঁরা ৷ সেই চেনা আরজি করের সঙ্গে আজকের প্রতিষ্ঠানের কোনও মিল পাচ্ছেন না চিকিৎসক সুমিতা চট্টোপাধ্যায়, মন্দিরা বসু এবং রণজিৎ কুমার ধর ৷
সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন মঞ্চে আরজি করের প্রাক্তনীরা ৷ (ইটিভি ভারত) গত 9 অক্টোবর মধ্যরাতে নারকীয় হিংস্রতার শিকার হয়েছেন পিজিটি’র পড়ুয়া চিকিৎসক ৷ আরজি করের 68’র মেডিকোজের পাসআউটরা ভাবতেও পারেন না, তাঁদের দ্বিতীয় বাড়ি তথা মন্দিরের সমান হাসপাতালে এমন দানবীয় ঘটনা ঘটতে পারে ৷ আরজি কর মানেই তাঁদের কাছে একরাশ সুখস্মৃতি ৷ যেখানে সিনিয়র ও জুনিয়র সকলের মধ্যে ছিল স্নেহের সম্পর্ক ৷ হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গাকে তাঁরা ভালোবেসে একাধিক নাম দিয়েছিলেন ৷
সেই আরজি কর আজ কলঙ্কিত ৷ যেখানে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন চিকিৎসক পড়ুয়া ৷ তারপর তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ এসব মেনে নিতে পারছেন না আশির দোরগোড়ায় আসা চিকিৎসক সুমিতা চট্টোপাধ্যায় ৷ তাঁর আর্জি, "আমি চাই যে বাচ্চা মেয়েটির সঙ্গে এই অন্যায় হল, সে সুবিচার পাক ৷ আর তাঁর জন্যই আমার এখানে আসা ৷ এই আরজি কর আমাদের কাছে বাড়ির মতো ৷ সেখানে এমন ঘটনা ভাবতে পারি না ৷ এত হানাহানি কেন ?"
প্রায় একইরকম আবেগপ্রবণ চিকিৎসক মন্দিরা বসু ৷ জানালেন, 1968 সালে পাশ করে বেরনোর পর থেকে আজও চিকিৎসক হিসেবে মানুষের সেবা করছেন ৷ শুরুর দিন থেকে আরজি করকে নিজের বাবা-মা’র মতো ভালোবেসেছেন ৷ এই আরজি কর না থাকলে, তাঁরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারতেন না ৷ কিন্তু, আজকের আরজি কর তাঁদের কাছে অচেনা ৷ তাই ভালোবাসার আরজি করের হারানোর সম্মান পুনরুদ্ধারের দাবিতে, আজ প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সেই সব প্রাক্তনীরা ৷