কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর:মাত্র 10 মিনিটের নোটিশে ফের বাড়ি খালি করানোর অভিযোগ কলকাতা মেট্রো রেলের বিরুদ্ধে ৷ তার প্রতিবাদে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের ভিতরে বিক্ষোভ ঘরছাড়া 11টি পরিবারের ৷ স্টেশনে ঢোকার পাঞ্চ গেটের সামনে বসে পড়েন তাঁরা ৷ এমনকি টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারীরা ৷ যার জেরে অফিসের ব্যস্ত সময়ে বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের ৷ পরে কেএমআরসিএলের জিএম ঘটনাস্থলে গেলে সেন্ট্রাল স্টেশনে পরিষেবার স্বাভাবিক হয় ৷
বাড়ি খালি করানোর প্রতিবাদ বউবাজারের 11টি পরিবারের ৷ (ইটিভি ভারত) কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঘরছাড়াদের অভিযোগ, শুক্রবার ভোররাতে আচমকাই 11টি পরিবারের 52 জন সদস্যকে বাড়ি খালি করে দিতে বলা হয় ৷ তড়িঘড়ি তাঁদের আশপাশের বিভিন্ন হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ কেএমআরসিএলের দাবি, আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বাড়িগুলি খালি করানো হয়েছে ৷ কিন্তু ঘরছাড়াদের অভিযোগ, বারবার কেন তাঁদের বাড়ি খালি করানো হচ্ছে ? আর কতবার এভাবে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে ?
এমনই নানান প্রশ্নের জবাব চেয়ে মেট্রো স্টেশনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন তাঁরা ৷ এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কলকাতা পুরনিগমের 48 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে ৷ একটা সময় ঘরছাড়াদের তরফে হুমকি দেওয়া হয়, প্রয়োজনে প্ল্যাটফর্মে ঢুকে মেট্রোর লাইন ধরে হাঁটতে থাকবেন তাঁরা ৷
বৃহস্পতিবার রাতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ করতে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের নজরে আসে দুর্গাপিতুরি লেনের নীচে মেট্রোর টানেলে বেশকিছু জায়গা দিয়ে জল ঢুকছে ৷ এর ফলে ইঞ্জিনিয়াররা আশঙ্কা করেন, ওই অংশের উপরে থাকা বাড়িগুলি ধসে পড়তে পারে ৷ অতীতের বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি যাতে না-হয়, তাই জরুরি ভিত্তিতে ভোররাত থেকেই 11টি বাড়ি খালি করে দিয়েছে আরভিএনএল ৷ ওই পরিবারগুলির মোট 52 জন সদস্যকে আশপাশের হোটেলে অস্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে ৷
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আরপিএফ আধিকারিকরা পৌঁছন ৷ তাঁরা সাইড গেট দিয়ে যাত্রীদের ঢোকা ও বেরনোর ব্য়বস্থা করেন ৷ কিন্তু, ঘরছাড়াদের এই বিক্ষোভ জারি রয়েছে ৷ তাঁদের দাবি, কেএমআরসিএলের এমডি-কে ঘরছাড়াদের সঙ্গে এসে দেখা করতে হবে ৷ আর কতদিন এই হয়রানির শিকার তাঁদের হতে হবে, সেই জবাব চেয়েছেন বউবাজারের ওই 11টি পরিবারের সদস্য ৷
বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন কেএমআরসিএলের জিএম অ্যাডমিন একে নন্দী ৷ তবে, তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই বিক্ষোভকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ৷ তাঁকে ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগান চলতে থাকে ৷ তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় ডিএম না-আসা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ জারি থাকবে ৷ একে নন্দী জানিয়েছে, বিকেল চারটে নাগাদ কেএমআরসিএলের ডিএম বৌবাজারে আসবেন ৷ ডিএম ঘটনাস্থালে আসবেন, এই প্রতিশ্রুতি মিলতে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে সরে আসেন বউবাজারের ঘরছাড়ারা ৷