দার্জিলিং, 21 ডিসেম্বর: রবিবার পাহাড়ে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নতুন রাজনৈতিক দল । তার আগে শনিবার হামরো পার্টি ভেঙে দিলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা অজয় এডওয়ার্ড । আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নতুন বছরের শুরুতেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ঘোষণা শৈলরানির রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনার সৃষ্টি করেছে ।
শুক্রবারই এসএসবি-র 61তম প্রতিষ্ঠা দিবসে যোগ দিতে এসে একান্তে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গে পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে আলোচনা সারেন কেন্দ্রের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সেকেন্ড ইন কমান্ড । আর অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর জানুয়ারি মাসের শুরুতেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথা জানান সাংসদ রাজু বিস্তা ।
ভেঙে গেল হামরো পার্টি (নিজস্ব ছবি) আর তারপরেই পাহাড়ের রাজনৈতিকমহলে জোর জল্পনার সৃষ্টি হয় । সেই জল্পনার আগুনে ঘি ঢালল অজয় এডওয়ার্ডের সিদ্ধান্ত ৷ দু’টি ঘটনা কি কাকতালীয়, নাকি এর মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে, সেই আলোচনাও রয়েছে ৷
এই বিষয়ে অজয় এডওয়ার্ড বলেন, "হামরো পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হল । পাহাড়ের বৃহত্তর স্বার্থে এই দলকে ভেঙে দেওয়া হল । একটা নতুন সূচনা হতে চলেছে পাহাড়ে । অনেক বড়মাপের নেতারা নতুন দলে যোগ দেবে । এই দল পাহাড় ও পাহাড়ের মানুষের জন্য কাজ করবে । আর ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে কী সমাধান সূত্র বের হয় আমরা সেদিকে লক্ষ্য রাখব । তবে আমরা খুব বেশি ওই বৈঠক নিয়ে আশা রাখছি না ।"
হামরো পার্টি (নিজস্ব ছবি) গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছেন তাকে স্বাগত জানাই । কিন্তু কিন্তু এই বৈঠকে যদি পাহাড় ও পাহাড়বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না-হয় তাহলে কোনও অর্থই থাকবে না । আর যে নতুন দল পাহাড়ে আসছে, তাও কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না ।"
ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মুখপাত্র এসপি শর্মা বলেন, "এই বৈঠক সম্পূর্ণ লোক দেখানো । সামনে পাহাড়ে কার্শিয়াং, মিরিক ও কালিম্পং পুরসভা নির্বাচন রয়েছে । তারপর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে । আর নির্বাচনের আগে ভুল বোঝাতেই এসব করছে বিজেপি ।"