হাসনাবাদ, 31 অগস্ট: ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হলেন পুলিশ কর্মীরা ৷ লাঠি, রড দিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণে অভিযুক্ত এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় হাসনাবাদের মুরারিশাহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ-সহ মোট সাত পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে ৷ সঙ্গে থাকা দু'জন সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ ৷
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার হাসনাবাদ থানার খরমপুর এলাকায় ৷ রাতেই হামলাকারী 2 অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তবে, ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি এখনও অধরা ৷ জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক মহিলা হাসনাবাদ থানার খরমপুর এলাকার ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মুরারিশাহ পুলিশ ফাঁড়িতে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছিল তদন্ত করতে ৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কয়েক জন সিভিক ভলান্টিয়ারও ৷
অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই অভিযুক্ত ও তাঁর দলবল পুলিশকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেন ৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাঠি ও রড নিয়ে পুলিশ কর্মীদের উপর চড়াও হন তাঁরা ৷ অভিযোগ, রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় পুলিশকে ৷ হামলায় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ-সহ সাতজন পুলিশ কর্মী এবং দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন ৷ তাঁদের উদ্ধার করে টাকি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা আক্রান্তদের পর্যবেক্ষণে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ তবে, জখম কয়েকজনের শনিবার এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যান করাতে হবে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে ৷
এদিকে, পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে জড়িতদের খোঁজে রাতেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয় ৷ শনিবার ভোরের দিকে হামলার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তবে, মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি-সহ বাকিদের কোনও হদিশ মেলেনি এখনও ৷ পুলিশের জানিয়েছে, দ্রুত মূল অভিযুক্ত-সহ বাকিদের নিজেদের নাগাল পেয়ে যাবেন তাঁরা ৷ অন্যদিকে, শুক্রবার রাতের ঘটনায় এখনও চাপা আতঙ্ক রয়েছে খরমপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে ৷ পরিস্থিতি যাতে নতুন করে উত্তপ্ত না হয়, সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ৷