রায়গঞ্জ, 20 জানুয়ারি: গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ায় পুলিশের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় নয়া মোড় । এই ঘটনার নেপথ্যে থাকা মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুল হোসেনকে গ্রেফতার করল পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল । সোমবার করণদিঘির রসাখোয়া এলাকা থেকে আব্দুলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে সূত্রের খবর ।
ইতিমধ্যেই দুই পুলিশকর্মীকে গুলি করার অভিযোগে অভিযুক্ত সাজ্জাক আলম পুলিশি এনকাউন্টারে মারা যায় । তাকে আশ্রয় ও মোটর বাইক দিয়ে সাহায্য করার অভিযোগে শেখ হজরতও পুলিশের হেফাজতে রয়েছে ।
জানা গিয়েছে, প্রিজন ভ্যান থেকে সাজ্জাকের পালানোর ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছিল এই আব্দুলই । এই বাংলাদেশিকে হাতে পেতে মরিয়া ছিল পুলিশ । সাজ্জাকের খোঁজে পুলিশ পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল ৷ ধৃত আব্দুলের বাড়ি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার মারাধর গ্রামে । 2019 সালে অনুপ্রবেশ ও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে গোয়ালপোখর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে । গোয়ালপোখরের ঝাড়বাড়ি গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি ।
অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িকে নিরাপদ ডেরা বানিয়ে সে একের পর এক 'ক্রাইম' করছিল । ইদানীং, সাজ্জাকের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল । আব্দুল হোসেন ওরফে আবালকে 2023 সালে আদালত পুশ-ব্যাকের অর্ডার দেয় । কিন্তু, ঘটনার দিন অর্থাৎ বুধবার আদালত চত্বরে আবদুলকে সিসিটিভি-র ফুটেজে দেখা গিয়েছে ।
বুধবার পুলিশের উপর গুলি চালিয়ে ফেরার হয়ে গিয়েছিল সাজ্জাক । শনিবারেও এনকাউন্টারের আগে সে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে । পরে তার কাছ থেকে একটি সেভেন এমএম পিস্তল মেলে । পুলিশের একাংশের অনুমান, বুধবার আদালতে আব্দুলই কোনওভাবে সাজ্জাকের হাতে ওই আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে দিয়েছিল । সাজ্জাক শনিবার এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে । অবশেষে সোমবার করণদিঘির রসাখোয়া থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়ল আব্দুল ।