ETV Bharat / state

দায়িত্ব নিতে রাজি নন আত্মীয়রা ! ট্যাংরা-কাণ্ডে নাবালকের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় লালবাজার - TANGRA MURDER CASE

পুলিশ বারবার অনুরোধ করলেও মামা-মামি ও অন্যান্য আত্মীয়রা ট্যাংরা-কাণ্ডের নাবালকের দায়িত্ব নিতে রাজি নন ৷ ফলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় লালবাজার ৷

ETV BHARAT
ট্যাংরা-কাণ্ডে গ্রেফতার হতে পারেন প্রসূন ও প্রণয় (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 24, 2025, 1:01 PM IST

কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: ট্যাংরা-কাণ্ডে এবার নাবালকের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় তদন্তকারীরা । পুলিশ সূত্রে খবর, ট্যাংরার দে পরিবারের দুই গৃহবধূ সুদেষ্ণা দে এবং রোমি দে-সহ এক নাবালিকাকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে । পাশাপাশি দে পরিবারের দুই ছেলে প্রসূন দে ও প্রণয় দে এবং ওই নাবালক চিকিৎসাধীন । এক্ষেত্রে কিছু দিনের মধ্যেই দে পরিবারের দুই ভাই প্রসূন ও প্রণয়কে হেফাজতে নিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চায় লালবাজার ।

তবে এই সবের আগে সবথেকে বড় বিষয় হল, প্রসূন ও প্রণয়কে যদি তদন্তকারীরা গ্রেফতার করেন, সেক্ষেত্রে ওই নাবালকের ভবিষ্যৎ কী হবে ? এ ক্ষেত্রে নাবালকের মামা ও মামির সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন তদন্তকারীরা । লালবাজার ও ট্যাংরা থানার তরফে নাবালকের মামা ও মামিকে ওই নাবালকের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ৷ তবে তাঁরা ওই নাবালকের কোনও দায়িত্ব নিতে চাননি । এই অবস্থায় নাবালকের ভবিষ্যৎ কী হবে ? তা নিয়ে চিন্তায় তদন্তকারীরা ।

কারণ প্রসূন এবং প্রণয়ের ফিট সার্টিফিকেট মিললেই তাঁদেরকে গ্রেফতার করবে কলকাতা পুলিশ । এক্ষেত্রে বাড়ির ওই নাবালককে তাঁরা কোথায় রাখবেন এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "এক্ষেত্রে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলার জন্য এবং নাবালকের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে হোমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে । তবে এখনও পর্যন্ত মামা ও মামি-সহ একাধিক আত্মীয়-স্বজনকে নাবালকের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে ৷"

ট্যাংরা-কাণ্ডে ওই নাবালককে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা । লালবাজার সূত্রে খবর, ওই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, প্রসূন এবং প্রণয় দে এই ঘটনা ঘটানোর আগে নিজেদের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক করেছিলেন । কীভাবে এই হত্যা করা হবে, তা নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা হয়েছিল । এছাড়াও ওই নাবালকের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে যে, প্রসূন ও প্রণয় নাকি পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁরা গঙ্গায় ডুব দিয়ে আত্মহত্যা করবেন । পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল হয় ।

আবার পরিকল্পনা করা হয় যে, তাঁরা কোনা এক্সপ্রেসওয়ে গিয়ে গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটাবেন । কিন্তু বিপরীতে থাকা গাড়ির যাত্রীরাও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, এই ভেবে সেই পরিকল্পনাও বাতিল করা হয় । পরে তাঁরা গাড়ি নিয়ে গড়ফায় মেট্রোর একটি পিলারে ধাক্কা মারেন । কিন্তু তাতে তাঁদের মৃত্যু হয়নি । ওই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা । নাবালকের দেওয়া বয়ান তাঁরা ভালোভাবে খতিয়ে দেখছেন ৷

কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: ট্যাংরা-কাণ্ডে এবার নাবালকের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় তদন্তকারীরা । পুলিশ সূত্রে খবর, ট্যাংরার দে পরিবারের দুই গৃহবধূ সুদেষ্ণা দে এবং রোমি দে-সহ এক নাবালিকাকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে । পাশাপাশি দে পরিবারের দুই ছেলে প্রসূন দে ও প্রণয় দে এবং ওই নাবালক চিকিৎসাধীন । এক্ষেত্রে কিছু দিনের মধ্যেই দে পরিবারের দুই ভাই প্রসূন ও প্রণয়কে হেফাজতে নিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চায় লালবাজার ।

তবে এই সবের আগে সবথেকে বড় বিষয় হল, প্রসূন ও প্রণয়কে যদি তদন্তকারীরা গ্রেফতার করেন, সেক্ষেত্রে ওই নাবালকের ভবিষ্যৎ কী হবে ? এ ক্ষেত্রে নাবালকের মামা ও মামির সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন তদন্তকারীরা । লালবাজার ও ট্যাংরা থানার তরফে নাবালকের মামা ও মামিকে ওই নাবালকের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ৷ তবে তাঁরা ওই নাবালকের কোনও দায়িত্ব নিতে চাননি । এই অবস্থায় নাবালকের ভবিষ্যৎ কী হবে ? তা নিয়ে চিন্তায় তদন্তকারীরা ।

কারণ প্রসূন এবং প্রণয়ের ফিট সার্টিফিকেট মিললেই তাঁদেরকে গ্রেফতার করবে কলকাতা পুলিশ । এক্ষেত্রে বাড়ির ওই নাবালককে তাঁরা কোথায় রাখবেন এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "এক্ষেত্রে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলার জন্য এবং নাবালকের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে হোমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে । তবে এখনও পর্যন্ত মামা ও মামি-সহ একাধিক আত্মীয়-স্বজনকে নাবালকের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে ৷"

ট্যাংরা-কাণ্ডে ওই নাবালককে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা । লালবাজার সূত্রে খবর, ওই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, প্রসূন এবং প্রণয় দে এই ঘটনা ঘটানোর আগে নিজেদের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক করেছিলেন । কীভাবে এই হত্যা করা হবে, তা নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা হয়েছিল । এছাড়াও ওই নাবালকের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে যে, প্রসূন ও প্রণয় নাকি পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁরা গঙ্গায় ডুব দিয়ে আত্মহত্যা করবেন । পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল হয় ।

আবার পরিকল্পনা করা হয় যে, তাঁরা কোনা এক্সপ্রেসওয়ে গিয়ে গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটাবেন । কিন্তু বিপরীতে থাকা গাড়ির যাত্রীরাও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, এই ভেবে সেই পরিকল্পনাও বাতিল করা হয় । পরে তাঁরা গাড়ি নিয়ে গড়ফায় মেট্রোর একটি পিলারে ধাক্কা মারেন । কিন্তু তাতে তাঁদের মৃত্যু হয়নি । ওই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা । নাবালকের দেওয়া বয়ান তাঁরা ভালোভাবে খতিয়ে দেখছেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.