শক্তিপুর, 5 মে: প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় যত গরম বাড়ছে ততই যেন ঝাঁঝ বাড়ছে লোকসভা ভোটের নির্বাচনী প্রচারে ৷ রাজনীতির ময়দানে বিতর্কিত মন্তব্য নতুন বিষয় নয় ৷ তবে এবার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন ভরতপুরে বিধায়ক হুয়ায়ুন কবীর ৷ নির্বাচনী সভা মঞ্চে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, বিজেপি সমর্থকদের ভাগীরথীর জলে ভাসিয়ে দেবেন ৷ এই ঘটনার পরেই ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন হুমায়ুন ৷ তিনি বলেন, "সেদিন আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। উত্তেজনায় দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে গিয়ে ভাগীরথীর জলে ভাসিয়ে দেব বলেছিলাম। তবে, কোনও সম্প্রদায়ের নাম না করেই বলেছিলাম।"
আসলে বিতর্কে জড়ানো ও তার এক-দু'দিন পর ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া, হুমায়ুন কবীরের নামের সঙ্গেই জড়িয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি তাঁকে বহরমপুরে প্রার্থী না করায় গোঁসা করে নির্দল প্রতীকে লড়ার হুংকার দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপে দু'দিনের মধ্যেই সুর পালটে ইউসুফ পাঠানের প্রচারে নামেন। তার আগে নাকি কালীঘাটে বৈঠকে অভিষেকের বকুনি খেয়ে তাঁকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে বিতর্কে জড়ান। পরে ভুল শুধরেও নেন। এবারও তার ব্যতিক্র হল না ৷
ভিডিও বার্তায় বলেন, "30 এপ্রিল উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী উস্কানি মূলক বক্তব্য দিয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেন। যোগির সভার 18 ঘণ্টা পর ইউসুফ পাঠানের নির্বাচনী জনসভায় আমি উত্তেজিত হয়েই একথা বলেছিলাম। দলীয় সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে মেজাজ হারিয়েই একথা বলেছিলাম ৷" গত 1 মে শক্তিপুরের এক নির্বাচনী জনসভা থেকে বিশেষ এক সম্পদায়কে নিশানা করেন ৷ হুমায়ুনের বক্তব্য নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বাংলায় জনসভায় এসে তাঁর সমালোচনা করেন ৷ এরপরই সুর পালটে ফেলেন হুমায়ুন।