কলকাতা, 13 অক্টোবর: ডাক্তারদের সংগঠন ফেমার তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল । তারই প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রবিবার ডাক্তারদের নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ ৷
ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রীকে শনিবারই চিঠি পাঠায় ৷ সেখানে লেখা হয়, ব্রিটিশ শাসনের পর বাংলায় অন্ধকারতম সময় । সমাধান না-বেরোলে, অনশনকারীরা জুনিয়র ডাক্তাররা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবেন । এই বক্তব্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় তারা । আর তা নিয়েই এবার কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ ।
মূলত ছটি বিষয় তুলে ধরে হস্তক্ষেপ চাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকে আক্রমণ শানালেন কুণাল । এদিন নিজের ফেসবুকের পাতায় তিনি লিখেছেন, "জুনিয়র ডাক্তাররা নাকি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে এখানে আসতে অনুরোধ করছেন !! এটা ঠিক হলে -
1) মনে রাখুন ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে দিল্লিতে এসমা জারি হয়েছিল ।
2) মণিপুর জ্বলছে, হতাহত, নারী নির্যাতন অসংখ্য, উনি যাননি ।
3) দিল্লির উপকন্ঠে কৃষক বিক্ষোভের সময় ওঁদের দমনপীড়নটা মনে আছে ?
4) উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্রের পরপর নারী নির্যাতন ভুলে গেলেন ?
5) সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, ডাক্তার ইস্যু সারা দেশের সমস্যা । টাস্ক ফোর্স গড়ে দিয়েছেন ।
6) সোনার মেয়ে কুস্তিগীরদের নির্যাতনকারী বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণকে সঙ্গে নিয়েই লোকসভায় বসতেন প্রধানমন্ত্রী ।
- তালিকা দীর্ঘ ।
এরপরেও তাঁর দ্বারস্থ হলে রাম-বাম জোট আর এই অংশের ডাক্তারদের সস্তা সুবিধাবাদী রাজনীতিই সামনে আসবে ।"
প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে থেকে একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসছে । সেই জায়গা থেকে কুণাল ঘোষের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । ডাক্তারদের সংগঠন শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেননি, চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও । আর সেই জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া নিয়ে কুণাল ঘোষের এই বক্তব্যে চিকিৎসক মহল কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাই এখন দেখার ।
সিসিইউতে অনুষ্টুপ, অনশনের অষ্টম দিনে গুরুতর অসুস্থ আরও এক জুনিয়র ডাক্তার