কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ । তাঁর দাবি, যে ধরনের ভভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিয়ে রাজ্য প্রশাসন আগে পদক্ষেপ নিলে স্বাস্থ্যভবনকে অস্বস্তির মুখে পড়তে হত না।
সোশাল মিডিয়ায় করা পোস্টে তিনি লেখেন," তদন্ত CBI করছে। সম্ভবত দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। এবিষয়টা সন্দীপ বা তাঁর আইনজীবীরা বলতে পারবেন। দলের কোনও বক্তব্য নেই। কিছু অভিযোগ অনেক আগেই শোনা গিয়েছিল। তখন পদক্ষেপ নিলে এখনকার অস্বস্তি এড়াতে পারত স্বাস্থ্যভবন। "
এদিকে, সন্দীপ যেদিন গ্রেফতার হচ্ছেন সেদিনই আরজি করের ঘটনায় দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নিয়েছে তৃণমূল । এসএসকেএম হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক অভীক দের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ উঠেছে। তিনি আরজি করের ঘটনাস্থলেও গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ । এমনই নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে ছাত্র সংগঠন থেকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল ।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রেস বিবৃতি (নিজস্ব চিত্র) এদিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে চিকিৎসক অভীক দে-র কী সম্পর্ক, আজ সেই প্রশ্নে হাসপাতালের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন চিকিৎসক এবং আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ তাঁদের অভিযোগ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কোনও একসময় ছিলেন এই অভীক দে ৷ কিন্তু, আজও তিনি কোন অধিকারে হাসপাতালের সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন ? কীভাবে মেডিক্যাল কলেজের লেকচারার থিয়েটার রুমে বৈঠক করেন ? এসব প্রশ্ন তুলেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ এবং জুনিয়র ডাক্তাররা ৷
উল্লেখ্য, গত 11 অগস্ট বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের লেকচারার থিয়েটারে রাত 11টা পর্যন্ত বেশ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার ও পিজিটি-কে নিয়ে বৈঠক করেন অভীক দে ৷ যেখানে নিয়ম অনুযায়ী, সন্ধে সাতটার পর এই লেকচারার থিয়েটার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ৷ সেখানে কোন অধিকারে একজন রাত 11টার সময় সেখানে বৈঠক করেন ? এমনই আবহে সন্দীপের গ্রেফতারি নিয়ে ঘুরপথে রাজ্য প্রশাসনকে খানিক অস্বস্তিতে ফেললেন কুণাল ।