কলকাতা, 2 নভেম্বর: রাজাবাজারে কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় হামলা চালানো হয়েছে, এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ যদিও কলকাতা পুলিশের দাবি, তেমন কোনও ঘটনা ঘটেইনি ৷ বরং বাইক পার্কিং নিয়ে গোলমালের জেরেই সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ৷
লালবাজারের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে এই নিয়ে দু’টি পোস্ট করা হয়েছে ৷ সেখানে অবশ্য কার অভিযোগ খণ্ডন করতে এই পোস্ট, তা উল্লেখ করেনি কলকাতা পুলিশ ৷
তারা শুধু লিখেছে, ‘‘সোশাল মিডিয়ায় নারকেলডাঙার ঘটনা নিয়ে ভুয়ো বর্ণনা তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে । কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় কোনও হামলা হয়নি । ইস্যুটি একটি বাইকের পার্কিং সম্পর্কিত ছিল, যার ফলে দুই ব্যক্তির মধ্যে ঝগড়া হয় এবং তা আরও বাড়তে থাকে ।’’
কলকাতা পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে আরও লেখা হয়, ‘‘তবে পুলিশ সময়মতো হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । নির্ধারিত কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে ও কোনও বাধা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে ।’’
যদিও শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে এই নিয়ে কয়েকটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন ৷ পাশাপাশি তিনি লিখেছিলেন, ‘‘তোষণের রাজনীতি চরমে উঠেছে । কলকাতার রাজাবাজারে মা কালীর বিসর্জন মিছিলে হামলা হয়েছে । নারকেলডাঙা পুলিশ ভক্তদের রক্ষা করতে এবং পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে ।’’
রাজাবাজারের ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পোস্ট৷ (এক্স হ্যান্ডেল থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট) ওই পোস্ট কলকাতার পুলিশ কমিশনারের এক্স হ্যান্ডেলকে ট্যাগ করে লেখেন, ‘‘কলকাতার সিপি, আপনি যদি এখনও আপনার গভীর ঘুম থেকে না জেগে থাকেন ৷ তবে সাধারণ ও নিরীহ ভারতীয়, যাঁরা বারবার পশ্চিমবঙ্গে মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন, তাঁদের স্বার্থে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্য অনুরোধ করুন ৷’’ ওই পোস্টের সঙ্গে রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে ট্যাগ করেছেন ৷
এদিকে কলকাতার পশ্চিম বন্দর থানার এলাকার আরও একটি ঘটনা নিয়েও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কলকাতা পুলিশ ৷ সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘পশ্চিম বন্দরের ঘটনা সম্পর্কে সোশাল মিডিয়ার দাবি সত্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে । কালী মন্দির বা পুজো মণ্ডপে ভাঙচুরের বর্ণনা বিভ্রান্তিকর ও প্রমাণিত নয় ।’’
এই নিয়ে কলকাতা পুলিশ আরও লিখেছে, আসলে পকসো আইনে অভিযোগ ঘিরে নির্যাতিতা ও অভিযুক্তদের মধ্যে গোলমালের জেরে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ পাথর ছোড়া ও ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয় ৷ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করে৷ কাছাকাছি কালীপুজো প্যান্ডেলের সম্পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে ৷ তার পর জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷
এই কলকাতা পুলিশের এক্স হ্যান্ডেলে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘মিথ্যা দাবি ছড়ানো শুধুমাত্র অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনাকে বাড়িয়ে দেয় এবং প্রকৃত সমস্যা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেয়, যেখানে এক শিশু এক অভিযুক্তের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিল, যাকে পশ্চিম বন্দর থানা অভিযোগ পাওয়ার পরই গ্রেফতার করে ৷’’