কলকাতা, 4 নভেম্বর: ধাপায় প্রতিমার কাঠামোর আবর্জনা গিয়ে পড়েছে 6-7 মেট্রিক টন । তাছাড়াও শারদোৎসবের সময়কালে প্রতিদিন অতিরিক্ত প্রায় 1000 টন করে আবর্জনা পড়েছে । ফলে আবর্জনায় উপচে পড়ছে ধাপা ৷ আর সেই আবর্জনা থেকে দূষণ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা নিয়ে চিন্তায় কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ ।
ধাপায় আবর্জনার জেরে দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালত একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে । তবে বিকল্পের অভাবে সেখানেই ফেলা হয় আবর্জনা । কিন্তু উৎসবের দিনের বাড়তি আবর্জনাই ফের চিন্তায় ফেলেছে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষকে ।
কলকাতা পুরনিগম (নিজস্ব ছবি) কলকাতা পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, ধাপায় প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার টন আবর্জনা জমা হয় । তার মধ্যে পচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াকারণ করে তার থেকে তৈরি হয় সার । অন্যদিকে অপচনশীল বর্জ্যও যায় বিভিন্ন ভাগে প্রক্রিয়াকরণ হতে । তবে কলকাতায় উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ পদ্ধতি চালু হলেও সেই অর্থে তার বাস্তবায়ন দেখা যায়নি বলে বিরোধীদের অভিযোগ । এর ফলে ধাপায় সব মিশ্রিত বর্জ্য গিয়েই পড়েছে । সেখানে বায়ো গ্যাস ও সার তৈরিতে খানিক বর্জ্য কমলেও অপচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণে লাগছে বিরাট সময় । আর সেই বিপুল বর্জ্য থেকেই দূষণ ছড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ।
পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় জাতীয় পরিবেশ আদালত বেশ বছর কয়েক আগেই জানিয়েছে, ধাপায় নতুন করে জঞ্জাল ফেলা যাবে না । তবে বিকল্প জায়গা না পাওয়ায় ওই জায়গায় জঞ্জালের পাহাড় কমাতে ও দূষণ ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে পুরনিগম । তৈরি হয়েছে বায়ো গ্যাস প্ল্যান্ট, জৈব সার প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র । তৈরি হয়েছে প্লাস্টিক থেকে বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিস তৈরির কারখানা ৷ এমনকি কংক্রিট বর্জ্য পুনর্ব্যবহার প্রকল্প করা হয়েছে । পুরনিগম সূত্রে খবর, তবু জঞ্জালের পাহাড় কমছে খুব ধীরগতিতে । আর তার উপর বাড়তি বিপুল পরিমাণ জঞ্জাল জমায় এই বিপত্তি ।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, "উৎসবের দিনে বিপুল সংখ্যায় জনসমাগম হয় শহরে । প্রচুর কেনাকাটা, দোকানপাট, খাবারের স্টল হয় । এতে কোনওভাবেই লাগাম দেওয়া যাবে না । তবে আমরা চেষ্টা করছি পচনশীল বর্জ্য দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ করে খানিকটা লাগাম দিতে । অপচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণে সময় লাগছে, সেটাই চিন্তার ব্যাপার ।"