মালদা, 7 সেপ্টেম্বর: হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত বাংলা-বিহার সীমান্ত সংলগ্ন ওয়ারি গ্রামে বৃহস্পতিবার গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে । গুলিবিদ্ধ হন শচীন পোদ্দার নামে এক ব্যক্তি । ওই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা অনুমান করেছিলেন, ছিনতাইয়ের চেষ্টা থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে ।
চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি মালদায় গুলিবিদ্ধের (ইটিভি ভারত) এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি যা দাবি করেছেন, তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর । গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী নিজেকে গাঁজা ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন । সেই কারবার থেকেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেও অনুমান করছেন তিনি । এমনকী থানার পুরোনো আইসি’ও তারা গাঁজার ব্যবসার বিষয়টি জানা ছিল বলেও জানিয়েছে সে ।
শচীন পোদ্দার বলেন, “হাট থেকে ফিরছিলাম । পেছন থেকে গুলি চালিয়েছে । দীর্ঘদিন ধরে আমি গাঁজার ব্যবসা করি । সঞ্জয় নামে আরেক জন গাঁজার ব্যবসা করে । ওর সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়েছিল । আমার মনে হচ্ছে, ও ছেলেদের দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে । আমি আগে হাটে গাঁজা বিক্রি করতাম । ও পরে এই ব্যবসা শুরু করে । এই নিয়ে ওর হিংসা ছিল । এর আগে আমি ডাকাতি কেসে জেল খেটেছি । ওই কাজ ছাড়া প্রায় 20 বছর হয়ে গিয়েছে । গত 2-3 বছর ধরে গাঁজার ব্যবসা করছি । আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় যে সমস্ত পুলিশকর্মী ছিল তারা বিষয়টা জানত । বর্তমানে যে সমস্ত পুলিশকর্মী রয়েছেন তারা বিষয়টি জানেন না । তবে পুরনো আইসি জানত ।”
পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির বয়ান অনুযায়ী ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । তবে এই ঘটনার সঙ্গে ছিনতাইয়ের চেষ্টার কোনও যোগ নেই বলেই মনে হচ্ছে । ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে । গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি এর আগে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছে । স্বভাবতই ওই ব্যক্তির নাম পুলিশে রেকর্ড রয়েছে ।”