ওয়াশিংটন, 26 জানুয়ারি: ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহে বড় ধাক্কা বাংলাদেশের ! স্থানীয় সময় শনিবার বাংলাদেশকে সবরকম সাহায্য বন্ধের সিদ্ধান্ত জানাল দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন ৷ আমেরিকার এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) চিঠিতে এদিন মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সব সাহায্য বন্ধ করার কথা জানিয়ে দিয়েছে ৷
এর আগে শুক্রবার কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল স্টেট ডিপার্টমেন্ট ৷ তাতে বাংলাদেশ-সহ বিশ্বের অন্য দেশগুলিকে অর্থ থেকে শুরু করে সব ধরনের সাহায্য করা তৎক্ষণাৎ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷ শুধুমাত্র ইজরায়েল ও মিশর এই তালিকার বাইরে ৷ তাদের সাহায্য করা চালিয়ে যাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৷
ইউএসএআইডি ওই চিঠিতে অংশীদারিদের জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এগজিকিউটিভ অর্ডার অনুযায়ী বাংলাদেশে সব প্রজেক্টের কাজকর্ম বন্ধ করতে হবে ৷ ইউএসএআইডি বা বাংলাদেশ নিয়ে চুক্তির অধীনে যেখানে যে কাজই হোক না কেন, তা কোনও সমবায় চুক্তি বা সাহায্য বা যন্ত্রপাতি গ্রহণ, সব বন্ধ করতে হবে ৷
আমেরিকার পাবলিক রেডিয়ো নেটওয়ার্ক (এনপিআর) সূত্রে খবর, সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিয়ো অন্য দেশগুলিকে সাহায্য করা সংক্রান্ত একটি বিল স্বাক্ষর করেছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিকে যে সাহায্য করে, সেই বিষয়ে 85 দিন ধরে একটি সর্বাত্মক পর্যালোচনা হবে ৷ এরপর সেই রিপোর্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট-এর কার্যালয়ে জমা পড়লে তা খতিয়ে দেখা হবে ৷ পরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা দেখে আবারও বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ৷
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই নির্দেশ বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল ৷ এছাড়া আচমকা বিদেশি সাহায্য বন্ধের ফলে আমেরিকা ভর্তুকি পাওয়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি বাংলাদেশে চলতি প্রজেক্টগুলি নিয়ে প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হবে ৷
20 জানুয়ারি আমেরিকার 47তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় বার শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমেরিকার সাহায্য 90 দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ ঘোষণা করেছিলেন ৷