কলকাতা, 15 জুন: দক্ষিণবঙ্গে আগামী পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে প্রবেশ করবে বর্ষা । এমনই স্বস্তির খবর অবশেষে শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷ আগামী 18 জুন থেকে 20 জুনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের । ফলে বর্ষার আগমনের পরিস্থিতি ক্রমশ অনুকূল হচ্ছে রাজ্যে ।
শুক্রবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 37.4 ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 30.1 ডিগ্রি সেলসিয়াস । সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দুটোই স্বাভাবিকের চেয়ে 2.9 ডিগ্রি বেশি ছিল । বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ 87 শতাংশ এবং সর্বনিম্ন 54 শতাংশ । আজ, শনিবার দিনের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে । বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে 36 ডিগ্রি এবং 29 ডিগ্রি সেলসিয়াস ।
বেশ কয়েকদিন আগেই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা ৷ কিন্তু বৃষ্টির জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গবাসী ৷ শুক্রবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী 4-5 দিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের বাকি অংশ এবং দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে ঢুকে পড়বে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু । অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার এর মধ্যে বর্ষা ঢোকার প্রবল সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে । সেইসঙ্গে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিক পর্যন্ত একটি ঘূর্ণাবর্ত অক্ষরেখা অবস্থান করছে । উত্তরপ্রদেশ থেকে মেঘালয় পর্যন্ত বিস্তৃত অক্ষরেখাটি অসম এবং এই রাজ্যের উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে । আবার একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পূর্ব বিহার ও উত্তরবঙ্গের উপরে । ফলে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত অক্ষরেখার টানেই বর্ষা অবশেষে প্রবেশ করতে চলেছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ।
গত 31 মে থেকে ইসলামপুরের উপরেই অবস্থান করছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু । বৃষ্টির দাপটে উত্তরবঙ্গের সমস্ত নদী রীতিমতো ফুঁসছে । ধস নেমে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন । তবে এখনই নিস্তার মিলবে না ৷ আরও পাঁচ দিন প্রবল বৃষ্টি ও দুর্যোগ চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস । শুক্রবার আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলায় হয়েছে অতিভারী বৃষ্টি । এই তিন জেলার বেশ কয়েক জায়গায় 200 মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে । দার্জিলিং ও কোচবিহার জেলার কিছু অংশে হয়েছে ভারী বৃষ্টি । মালদা ও দুই দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও । শনিবারেও আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস ।