নয়াদিল্লি, 8 ফেব্রুয়ারি: প্রায় সবকটি বুথ ফেরৎ সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছিল আম আদমি পার্টির (আপ) পরাজয় নিশ্চিত ৷ তবে একসঙ্গে এতগুলি ইন্দ্রপতন হবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কেজরিওয়ালের দল ৷ এমনকী নয়াদিল্লির আসনও হাতছাড়া হবে 'ঝাড়ু'র, তাও আন্দাজ করতে পারেনি আপ নেতারা ৷ দুপুর গড়াতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে চিত্র ৷ একা কুম্ভ রক্ষা করলেন অতিশী ৷ হেরে গেলন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া, সোমনাথ ভারতী, সত্যেন্দ্র জৈনের মতো তাবড় আপ নেতারা ৷
আম আদমি পার্টির প্রধান এবং দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিজেপি প্রার্থী পরবেশ সাহেব সিং ভার্মার কাছে চার হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন। যদিও বেশ কয়েক রাউন্ড গণনার সময় কয়েকশো ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে-পিছিয়ে ছিলেন ৷ শেষ পর্যন্ত বিজেপি প্রার্থী পরবেশ ভার্মা জয়ী হন। ওই কেন্দ্রেই কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন সন্দীপ দীক্ষিত ৷ দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ গণনা শেষে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ৷
হারের কেজরিওয়াল এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, "আমরা দিল্লির জনতার রায় স্বীকার করছি ৷ বিজেপিকে এই জয়ের জন্য অভিনন্দন ৷ আমরা আমাদের শাসনকালে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি ৷ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে, শিক্ষাক্ষেত্রে, বিদ্যুৎ, মহিলাদের উন্নয়নে আমরা চেষ্টা করেছি কাজ করার ৷ আমরা কখনই সরকারে থাকার জন্য রাজনীতি করি না ৷ আমরা মানুষের সেবায় নিয়োজিত ৷ এবার আমরা ভালো বিরোধীর দায়িত্ব পালন করব ৷ আমাদের কর্মী-সমর্থকদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ ৷ ওরা দুর্দান্ত লড়াই করেছেন ৷"
অন্যদিকে, কেজরিওয়ালের পাশাপাশি হেরে গিয়েছেন আপের আরও এক হেভিওয়েট প্রার্থী মণীশ সিসোদিয়া ৷ জংপুরা বিধানসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী তরবিন্দর সিং মারওয়ার কাছে হেরে গিয়েছেন ৷ মারওয়া 34 হাজার 632টি ভোট পেয়েছেন ৷ যেখানে আম আদমি পার্টির প্রার্থী 34,060 ভোট পেয়েছেন ৷ এই কেন্দ্রেই কংগ্রেস প্রার্থী ফরহাদ সুরি পেয়েছেন 6,866টি ভোট ৷ গণনার শুরু থেকেই পিছিয়ে ছিলেন সিসোদিয়া। আপ নেতা সিসোদিয়া গেরুয়া শিবিরের তিনবারের বিধায়ক তরবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেন ৷
মণীশ সিসোদিয়া পরাজয় স্বীকার করে বলেন, "দলের কর্মীরা ভালো লড়াই করেছেন ৷ আমরা সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছি। মানুষও আমাদের সমর্থন করেছে। আমি 600 ভোটে হেরেছি। জয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানাই। আমি আশা করি, তিনি নির্বাচনী এলাকার জন্য কাজ করবেন।"