দুর্গাপুর, 7 সেপ্টেম্বর: দেশের 34 জন জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারের স্ট্যাম্প নকল করে ভুয়ো আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স তৈরি এবং সেই ভুয়ো লাইসেন্সের মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের অভিযোগ । ঘটনায় গ্রেফতার মূল পাণ্ডা-সহ 4 জন । তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করছে কোকওভেন থানার পুলিশ । ধৃতরা হল বিহারের বক্সারের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র উপাধ্যায়, আসানসোলের কুলটির বাসিন্দা বিকি যাদব, আসানসোল দক্ষিণ থানার বাসিন্দা রাকেশ বার্নওয়াল ও কৈলাস সুনহাওয়ান ।
প্রশাসনিক কর্তাদের স্বাক্ষর-সিল জাল, ভুয়ো লাইসেন্সের ব্যবহার করে আগ্নেয়াস্ত্রে পাচার; ধৃত 4 - Fire Arms Smuggling
Fire Arms Smuggling: প্রশাসনিক কর্তাদের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে আগ্নেয়াস্ত্রের ভুয়ো লাইসেন্স তৈরি ৷ এমনকী সেই লাইসেন্সের মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের অভিযোগ ৷ মূল পাণ্ডা-সহ পুলিশের জালে 4 ৷
Published : Sep 7, 2024, 6:14 PM IST
এ বিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন ৷ তিনি বলেন, "আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছিলাম । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুলটি থেকে বিকি যাদবকে গ্রেফতার করা হয় । তারপরেই বিকিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের মূল পাণ্ডা ধর্মেন্দ্র উপাধ্যায়কে বিহারের বক্সার থেকে এবং আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকা থেকে রাকেশ বার্নওয়াল ও কৈলাস সুনহাওয়ানকে গ্রেফতার করা হয় ।"
জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হয়েছে জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারের নামে তৈরি করা ভুয়ো স্ট্যাম্পগুলি । বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সও বাজেয়াপ্ত হয়েছে । একটি কান্ট্রি মেড সিঙ্গেল ব্যারেল নামের আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে । শুক্রবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল । চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চলছে । এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে, তাদের সন্ধানেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ । এই চক্রের জাল আর কোথায় কোথায় ছড়িয়ে আছে, তা জানতে মরিয়া আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কর্তারা । জানা গিয়েছে, আন্তঃরাজ্য এই চক্রটি সারাদেশ জুড়ে নিজেদের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল, এমন তথ্য ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে এসেছে ।