সল্টলেক, 30 জানুয়ারি: হাত বাঁধা ও গলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পরিচয়পত্র ঝোলানো এক যুবক ৷ মাথার চুল উসকো-খুসকো ৷ সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ওই যুবককে কয়েকজন লাগাতার চড় মারছেন ৷ না, ইনি কোনও আসল ইডি আধিকারিক নন ৷ ইডি আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ৷ এক যুবতীকে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে গতবছর আইনত বিয়ে করেছেন তিনি ৷ আর সত্যি সামনে আসার পর অভিযুক্তকে ইডি দফতরের বাইরেই মারধর করল প্রতারিত যুবতীর পরিবার ৷ ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷
প্রতারিত যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, নয় মাস আগে একটি অনলাইন ম্যারেজ ব্যুরোর মাধ্যমে সোনারপুরের বাসিন্দা প্রদীপ সাহার সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের মেয়ের ৷ ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে দু’জনের বিয়ের কথা পাকা হয় ৷ প্রদীপ সাহা নিজেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি আধিকারিক পদে কর্মরত বলে পরিচয় দিয়েছিলেন ৷ এমনকি গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে যুবতীর সঙ্গে তাঁর আইনত বিয়েও হয়েছে ৷ আর সামনেই তাঁদের সামাজিক অনুষ্ঠান করে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ৷
প্রতারিত যুবতীর ভাই অভিযোগ করেছেন, সম্প্রতি প্রদীপ সাহার আচরণে সন্দেহ হয় তাঁদের ৷ ব্যাংকশাল কোর্ট থেকে তাঁকে প্রতারণার মামলায় নোটিশ পাঠানো হয় ৷ অভিযোগ, এর পরেই ওই যুবতীকে মিথ্যে বলে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেন প্রদীপ ৷ এতে সন্দেহ হওয়ায় প্রদীপের ছবি নিয়ে যুবতীর ভাই সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ছ’তলার ইডি দফতরে পৌঁছন ৷ সেখানে গিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের প্রদীপের ছবি দেখান তিনি ৷ কিন্তু, সিকিউরিটি জোন থেকে জানানো হয়, ওই নামে কোনও আধিকারিক সিজিও কমপ্লেক্সে নেই ৷