কলকাতা, 21 সেপ্টেম্বর: কলকাতার একটি হাসপাতালে সম্পন্ন হল কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী চোখের অস্ত্রোপচার ৷ গত 27 অগস্ট 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে'র নবান্ন অভিযানের দিন আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটের আঘাকে গুরুতর জখম হয় তাঁর বাঁ-চোখ ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাঁর চোখে ওষুধ চলছে ৷ অস্ত্রোপচারের পর আরও তিন থেকে চার মাস অপেক্ষা করতে হবে ৷ তারপরেই চোখের পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন ৷
এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইডি) আরিশ বিলাল ইটিভি ভারতকে বলেন, "দেবাশিস চক্রবর্তী কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট ৷ তাঁকে সব ধরনের সহযোগিতার জন্য হাত বাড়ানো হচ্ছে ৷ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর ক্ষতিগ্রস্ত চোখ ধীরে ধীরে উন্নতির পথে ৷ তবে, আরও বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন ৷ তিনি এখনও চিকিৎসকদের 24 ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ৷
উল্লেখ্য, গত 27 অগস্ট পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানের দিন বাবুঘাটের কাছে কর্তব্যরত ছিলেন কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী ৷ তাঁর ডিউটি চলাকালীন 20-25 জন এসে গাড়ির কাঁচে অনবরত ইট ছুঁড়তে শুরু করেন ৷ সেখানে দেবাশিস চক্রবর্তী সঙ্গে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইডি) আরিশ বিলাল নিজে ৷
জানা যায়, গাড়ির ভিতর ঢুকে দেবাশিস চক্রবর্তীকে বাইরে বের করে আনেন আন্দোলনকারীরা ৷ এরপর তাঁকে অনবরত মারধর করতে থাকেন তাঁরা ৷ আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হন ওই সার্জেন্ট ৷ দেবাশিস চক্রবর্তীর বাঁ-চোখ দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরতে থাকে ৷ এরপরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে ৷ অভিযোগ ওঠে, সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে আহত ও রক্তাক্ত হয়েছিলেন আরও একাধিক পুলিশ কর্মী ৷ তবে, ট্রাফিক সার্জেন্টের চোট ছিল গুরুতর ৷ সেই সময় থেকেই তিনি বাঁ-চোখে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ছিলেন ৷ জানা গিয়েছে, এখনও চোখের অবস্থা প্রায় সেই একরকম রয়েছে ৷
লালবাজার সূত্রে খবর, ট্রাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে ৷ রাস্তা ও আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ আগেই সংগ্রহ করেছিল পুলিশ ৷ এই হামলা চালানোর ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করেছে লালবাজার ৷ গত 27 অগস্ট নবান্ন অভিযানের দিন কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে একাধিক ব্যক্তি এবং মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷