কলকাতা, 19 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডে দুই চিকিৎসককে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ কলকাতা পুলিশের ৷ সেই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব সেরে বেরিয়ে ড. সুবর্ণ গোস্বামী জানালেন যে কলকাতা পুলিশ তাঁকে ও ড. কুণাল সরকারকে দেওয়া সমন বাতিলের আশ্বাস দিয়েছে ৷ পাশাপাশি মহানগরের শান্তি ফেরানোর জন্য চিকিৎসকদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছে ৷
শান্তি ফেরাতে চিকিৎসকদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা পুলিশের, দাবি ড. সুবর্ণ গোস্বামীর (ইটিভি ভারত) উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ, ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে একাধিক ব্যক্তিকে নোটিশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ ৷ সেই তালিকায় ছিলেন কলকাতার দুই চিকিৎসক ড. সুবর্ণ গোস্বামী ও ড. কুণাল সরকার ৷ সোমবার তাঁরা দুপুর 3টে 20 মিনিট নাগাদ লালবাজারে আসেন ৷ প্রায় এক ঘণ্টা 10 মিনিট বাদে তাঁরা লালবাজার থেকে বের হন ।
বাইরে এসে ড. সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, "আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা করেছেন কলকাতা পুলিশ । কোন কোন জায়গায় ভুল ত্রুটি রয়েছে, সাধারণ মানুষ এবং চিকিৎসক মহল কেন ক্ষুব্ধ, সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছিল । সর্বোপরি চিকিৎসক সংগঠনগুলির থেকে কলকাতা পুলিশ সাহায্য চেয়েছে । কারণ, কলকাতা পুলিশ শহরের শান্তি ফেরাতে চায় । আমরা পুলিশের বক্তব্য শুনলাম । আমাদের যা কর্মসূচি রয়েছে সেগুলো চলবে । সংগঠনগুলির সঙ্গে আলাপ আলোচনা করার পর মতামত জানানো হবে ।"
এ দিন তাঁদের হাজিরাকে কেন্দ্র করে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরসের ডাকে সিনিয়র ডাক্তাররা বেলা 2টোর সময় মেডিক্যাল কলেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্লকের সামনে জমায়েত করেন । সেখান থেকে মিছিল করে লালবাজার আসেন সুবর্ণ ও কুণালের সঙ্গে । তাঁদের সঙ্গে তাঁদের আইনজীবীও ছিলেন । কুণাল ও সুবর্ণকে লালবাজারে পৌঁছে দেওয়ার পর, তাঁদের সতীর্থ চিকিৎসকরা মেডিকেল কলেজে গিয়ে অপেক্ষা করেন ৷
তখন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্মস অফ ডক্টরস-এর তরফে ড. মানস গুমটা বলেন, "যতক্ষণ না আমাদের বন্ধু সহকর্মী বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. কুণাল সরকার এবং ড. সুবর্ণ গোস্বামী লালবাজারের মেডিকেল কলেজে ফিরছে, ততক্ষণ আমরা অপেক্ষা করব ।"
লালবাজারে যাওয়ার আগে ড. সুবর্ণ গোস্বামী স্পষ্ট জানান, নির্যাতিতার পরিবারের থেকে পাওয়া পোস্টমর্টেম রিপোর্টের তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বক্তব্য পেশ করেছিলেন । তিনি কোনও মিথ্যা বা ভুল তথ্য পরিবেশন করেননি । অযথা বিভ্রান্তি বা ভুল তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে । তিনি বলেন, "আমাদের বক্তব্য মিডিয়াতে বা সামাজিক মাধ্যমে তো রয়েছে । আমরা সেখানে কি বলেছি না বলেছি তা মিলিয়ে দেখবেন । এতে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই । এইভাবে ডাকাডাকি করে আন্দোলন দমানো যাবে না ।"