কলকাতা, 1 জানুয়ারি: বছরের শুরুতে শপথ বাক্য পাঠ করলেন চিকিৎসকরা। আরজি করে নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিকে সামনে রেখেই এই শপথ বাক্য পাঠ করলেন সিনিয়র চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যরা। মেডিক্য়াল সার্ভিস সেন্টার এবং নার্সেস ইউনিটির ডাকে বছরের শুরুর দিন আরজিকর হাসপাতালে এই 'শপথ কর্মসূচি' নেওয়া হয়েছিল। যোগ দিয়েছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সদস্যরাও।
সকলের উপস্থিতিতে আরজিকর হাসপাতালে নির্যাতিতার আবক্ষমূর্তির সামনে শপথ বাক্য পাঠ করলেন চিকিৎসকরা। এদিন দু'পাতার একটি শপথ বাক্য পাঠ করেন আরজি কর হাসপাতালে নার্স সুচিস্মিতা মজুমদার। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে শেষ দু'লাইন বলে ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলনের শপথ নেন উপস্থিত হওয়া চিকিৎসক-নার্স থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলে।
কর্মসূচি প্রসঙ্গে মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্র বলেন, "এই শপথ গ্রহণের মানে নিজের কাছেও অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া, যাতে আমরা ন্যায়বিচার পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনেই থাকি। এর পাশাপাশি 2025 সালে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেটা নিশ্চিত করাও আমাদের অঙ্গীকার ।"এদিন শপথ গ্রহণ কর্মসূচির পর আরজি কর হাসপাতাল ক্যাম্পাসে এটি মোমবাতি মিছিল করা হয়।
এদিনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টও। জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, "বিচারব্যবস্থার প্রতি একটি অনাস্থা তৈরি হয়েছে। তাই সিনিয়র চিকিৎসকদের এই কর্মসূচিতে আমরা যোগ দিয়েছি। এর আগে বিভিন্ন সময়ে লালবাজার অভিযান থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিলাম আমরা। সবকটি কর্মসূচির একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট ছিল। এখন পরিস্থিতি আলাদা। আগামিদিনে কী কর্মসূচি পালন করব তা জানিয়ে দেওয়া হবে।"
সূত্রের খবর, আগামী 9 জানুয়ারি ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের ডাকে একটি মিছিল হতে পারে। তারপর শ্যামবাজারে রাতভর অবস্থানে ডাক দিতে পারেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সবমিলিয়ে নতুন বছরে আবারও আন্দোলনের ধার বাড়াতে চাইছেন চিকিৎসকরা। বছরের শেষদিনে আরও একবার রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল আন্দোলনকারীদের তরফে।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নির্যাতিতার পরিবার জানায়, তারা মনে করে সরকারের বিরোধিতা করেই বিচার মিলবে। এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার নির্যাতিতার পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, আন্দোলন বন্ধ হলে বিচার পাওয়ার আশাও শেষ হয়ে যাবে। তাই আন্দোলন চালিয়ে যেতেই হবে। এবার ফের আন্দোলনে জোয়ার আনার কথা বললেন জুনিয়র থেকে সিনিয়র চিকিৎসকরা।