কৃষ্ণনগর, 19 অক্টোবর: নদিয়ার কৃষ্ণনগরে মৃত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করল চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল । শুক্রবার বিকেলে দীর্ঘক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা ৷ একই সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মা-বাবা চিকিৎসকদের আন্দোলনে সামিল হতে পারেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক পবিত্রকুমার গোস্বামী ৷
তিনি বলেন, "নরকে পরিণত করেছে এই রাজ্যটাকে ৷ রাজ্য প্রশাসন নির্বিকার থাকার কারণে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে একের পর এক নারী নির্যাতন ও নারী হত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে । এই সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে । আমরা ভেবেছিলাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গে আরও নারী সুরক্ষা বাড়বে । কিন্তু পুরোটাই তার উলটো হয়েছে । দিন দিন নারী নির্যাতন এবং খুনের ঘটনা যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলায় ।"
চিকিৎসক পবিত্রকুমার গোস্বামীর বক্তব্য (ইটিভি ভারত) তাঁর কথায়, "আমরা মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সবসময় পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি । আমরাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছি । পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে যে যে অভিযুক্ত জড়িত রয়েছে তারা কেউ যেন ছাড়া না পায়, সেই দাবিও জানাচ্ছি ।"
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে তরুণীর অর্ধনগ্ন ও অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে ৷ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা । মৃতের পরিবারের তরফে ধর্ষণ ও খুন এবং জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয় । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাহুল বোস নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে মৃত তরুণীর দেহের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় । এরপর পরিবারে হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয় ৷ পরে নবদ্বীপ শ্মশানে দাহ করা হয় তরুণীকে ৷ পরের দিন সকালে যে স্থানটিকে ওই তরণীর দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে ফরেন্সিক তদন্তে যায় প্রতিনিধি দল । সাগর জেলা সুপারের উপস্থিতিতে সেখানকার বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে তারা ।