মুজফ্ফরপুর, 2 ফেব্রুয়ারি: পুয়োর লেডি, পুয়োর থিং! কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির এই মন্তব্যের জল গড়াল আদালত পর্যন্ত ৷ 31 জানুয়ারি বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বক্তৃতা প্রসঙ্গে তাঁর করা এই উক্তির জেরে মামলা দায়ের হল বিহারের মুজফফরপুরের সিজেএম আদালতে ৷
মুজফফরপুরের আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা সোনিয়া ছাড়া, তাঁর পুত্র লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি এবং কন্যা কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছেন ৷ মামলাকারী আইনজীবী বিহারের সদর থানা এলাকার লাহলাদপুর পাটাহির বাসিন্দা ৷ তিনি বলেন, "প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অসম্মানের চেষ্টা করেছেন ৷ তাঁর (সোনিয়া গান্ধির) এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি ৷" মুজফফুরপুরের সিজেএম আদালতে এই মামলার শুনানি হবে আগামী 10 ফেব্রুয়ারি ৷
এই মামলা প্রসঙ্গে সুধীরকুমার ওঝা বলেন, "আমি সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধির বিরুদ্ধে মুজফফরপুরের আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছি ৷ তাঁর তিনজনই অভিযুক্ত ৷ বাজেট নিয়ে ভাষণের দিন তাঁরা সকলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা ষড়যন্ত্রমূলক ৷ রাষ্ট্রপতি মহিলা এবং তিনি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৷ এই মন্তব্যগুলি আপত্তিজনক ৷ মাননীয় সিজেএম এই মামলা দায়েরে অনুমতি দিয়েছেন ৷"
মামলাকারী আইনজীবী বিএনএস 2023-এর অধীনে 352, 351 (2) (3) 79, 151 61 (2) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন ৷ তাঁর দাবি, অপরাধ প্রমাণিত হলে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী ও তাঁর পুত্র-কন্যার দুই থেকে সাত বছরের কারাবাস হতে পারে ৷
কী বলেছিলেন সোনিয়া গান্ধি ?
31 ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশন শুরু হয় ৷ এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণ শেষ হওয়ার পরে কক্ষের বাইরে বেরিয়ে আসেন রাজ্যসভার সাংসদ সোনিয়া গান্ধি ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা পুত্র রাহুল গান্ধি ও কন্যা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ৷ এই সময় তাঁকে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা ৷
তখন রাহুল মায়ের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করেন, "বোরিং! নো কমেন্টস!" এদিকে সোনিয়া বলেন, "মিথ্যা প্রতিশ্রুতি !" এছাড়া কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন সোনিয়া আরও বলেন, "রাষ্ট্রপতিকে অসহায় লাগছিল ৷ তিনি বক্তৃতার শেষ দিকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন ৷ তিনি কথাই বলতে পারছিলেন না ৷ তিনি যেন এক ক্লান্ত নারি " এই সময় প্রিয়াঙ্কা গান্ধি চুপ করেই ছিলেন ৷ এই ভিডিয়ো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায় ৷ এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনায় মাঠে নেমে পড়েন বিজেপি নেতারা ৷ এমন মন্তব্যে রাষ্ট্রপতির মর্যাদা হানি হয়েছে বলে বিবৃতি দেয় রাইসিনা হিলসও ৷ প্রধানমন্ত্রী মোদিও এই সুযোগে ফের কংগ্রেসকে শাহি পরিবার বলে কটাক্ষ করেন ৷