কালনা, 9 নভেম্বর: টিউশন পড়তে গিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী তার মাকে ফোন করে বলে, 'ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না।' এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুক্রবার রাতে কালনা ও গুপ্তিপাড়া স্টেশনের মাঝে জিউধারা রেলগেট এলাকা থেকে ছাত্রীটির দেহ উদ্ধার হয় ।
পরিবার সূত্রে খবর, ছাত্রীটির বাড়ি কালনার ধাত্রীগ্রাম এলাকায় । শুক্রবার সন্ধে নাগাদ দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া তার মায়ের সঙ্গে টিউশন পড়তে যায় । টিউশন ছুটির পরে মায়ের আনতে যাওয়ার কথা ছিল তাকে । কিন্তু এর আগেই ছাত্রীটি তার মাকে ফোন করে জানায়, 'ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না ।'
কালনা ও গুপ্তিপাড়া স্টেশনের মাঝে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার (নিজস্ব ছবি) জানা গিয়েছে, ছাত্রীটি 6টা বেজে 52 মিনিটে তার মাকে ফোন করে । তারপর সে নাকি রেললাইন ধরে হাঁটতে শুরু করে । সেই সময় ওই লাইন দিয়ে একটা লোকাল ট্রেন যায় । ট্রেন চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে খবর আসে রেললাইনে একটা দেহ পড়ে আছে । রাতের দিকে ওই ছাত্রীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয় । তারা গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ।
ওই ছাত্রীর কাকা বলেন, "শুক্রবার বিকেল নাগাদ টিউশন পড়তে যায় । সে বারো ক্লাসে পড়ে । সন্ধে প্রায় সাতটা নাগাদ তার মাকে ফোন করে জানায় ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না । মেরে ফেলবে । তারপর সে ফোন কেটে দেয় । আমরা সওয়া সাতটা নাগাদ থানায় পৌঁছে ঘটনার কথা জানাই । পুলিশ তদন্ত শুরু করে । ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তার দেহ উদ্ধার হয় । আজ সকালে আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি । আমাদের অনুমান, তাকে খুন করা হয়েছে । সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সে স্টেশনের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছিল । তারপর আর দেখা যায়নি ।"
কালনার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, "শুনেছি একটা মেয়েকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে । এসে শুনলাম মেয়েটা কালনাতে টিউশন পড়তে এসেছিল । তার মাকে নাকি ফোন করে বলেছে, যে আমাকে ওরা বাঁচতে দিল না। এটা যদিও লোকালয় এলাকা । ফলে সেই লোকালয়ে কীভাবে কী ঘটনা ঘটেছে বুঝতে পারছি না । পুলিশ তদন্ত করছে ।"
কালনা জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই ছাত্রী স্টেশনের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছে । বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।