ETV Bharat / state

সঞ্জয় রায়কে দেওয়া হোক সর্বোচ্চ শাস্তি, আদালতে সওয়াল সিবিআইয়ের - RG KAR DOCTOR RAPE AND MURDER

প্রথম দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দাবি তুলেছিলেন, সেটাই সিবিআইয়ের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হল, বলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ ৷

RG KAR DOCTOR RAPE AND MURDER
সঞ্জয় রায়কে দেওয়া হোক সর্বোচ্চ শাস্তি, আদালতে সওয়াল সিবিআইয়ের (ফাইল ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 3, 2025, 2:45 PM IST

Updated : Jan 3, 2025, 6:33 PM IST

কলকাতা, 3 জানুয়ারি: সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক সঞ্জয় রায়কে, আদালতে এমনই সওয়াল করেছে সিবিআই ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের মামলায় আদালতে ফাইনাল ক্লোজিং সাবমিশন পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরো ৷ সেখানেই তারা ধর্ষণ-খুনের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ ফাঁসির সাজা দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছে ৷

সাধারণত অপরাধের ধরন বিরলের মধ্যে বিরলতম হলেই অপরাধীকে সর্বোচ্চ সাজা শোনায় আদালত ৷ আরজি করের ঘটনাও বিরলের মধ্যে বিরলতম বলেই আদালতে সিবিআই দাবি করেছে ৷ সেখানে তারা এই ঘটনাকে ‘জঘন্যতম’ বলেও উল্লেখ করেছে ৷ সেই কারণেই কেন্দ্রীয় এই সংস্থা সঞ্জয়ের রায়কে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার পক্ষে বলেই জানিয়েছে আদালতে ৷

আরজি করে ধর্ষণ-খুন মামলার শুনানি চলছে শিয়ালদা আদালতে ৷ ইতিমধ্যে সিবিআই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ৷ চার্জগঠনও হয়েছে ৷ তার পর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয় ৷ খুব শীঘ্রই এই মামলার রায় বের হতে পারে বলেও খবর ৷ তাই শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের সওয়াল মেনে বিচারক সঞ্জয় রায়কে সর্বোচ্চ সাজা দেন, নাকি অন্য কোনও রায় দেন, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন সকলে ৷

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছিল গত 9 অগস্ট সকালে ৷ সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে কলকাতা পুলিশে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশই ৷ পরে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে ৷ সিবিআইও সঞ্জয়কেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে চার্জশিট জমা দেয় ৷

এই ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সিবিআই আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল ৷ তাঁদের একজন অভিজিৎ মণ্ডল ৷ তিনি ঘটনার সময় টালা থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ওই থানা এলাকার মধ্যেই অবস্থিত ৷ দ্বিতীয়জন সন্দীপ ঘোষ ৷ তিনি ঘটনার সময় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদে ছিলেন ৷

কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে চার্জশিট পেশ করতে পারেনি সিবিআই ৷ সেই কারণেই আদালত দু’জনকেই জামিন দেয় ৷ অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেয়ে কারাগারের বাইরে আসতে পারলেও সন্দীপ ঘোষ এখনও জেলবন্দি ৷ কারণ, তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ সেই মামলাতেই এখন তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ৷ আপাতত তাঁর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার৷ সেখানেই রয়েছেন সঞ্জয় রায়ও ৷

এই সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ উঠেছিল ৷ আরজি করের ঘটনার পর জুনিয়র চিকিৎসকরা যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, সেই আন্দোলনে বারবার এই অভিযোগ উঠেছিল ৷ অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, সন্দীপ ঘোষই এই ঘটনার মূলচক্রী ৷ শুধু সন্দীপ নন, আরও অনেকে এই মামলায় জড়িত বলেও অভিযোগ ওঠে ৷

যদিও সিবিআই অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সঞ্জয়, সন্দীপ ও অভিজিৎ ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করেনি ৷ তাই আগামিদিনে এই মামলায় আর কেউ গ্রেফতার হবেন কি না, সেটাই দেখার ৷ তাছাড়া সন্দীপ ও অভিজিতের বিরুদ্ধে সিবিআই কবে চার্জশিট পেশ করতে পারে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন ৷ আর এই প্রশ্নগুলির অপেক্ষায় রয়েছেন আরজি কর-কাণ্ডে নিহত নির্যাতিতার মা-বাবা থেকে বাংলার সাধারণ নাগিরক, সকলেই ৷

এর মধ্যেই এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘সিবিআই আদালতে সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে ৷ এই দাবি তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন তুলেছিলেন ৷ আর কলকাতা পুলিশ 24 ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল ৷ জয়নগরের মতো আরজি করের পরের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ, মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ তদন্ত করে, গ্রেফতার করে, চার্জশিট দিয়ে, ট্রায়াল শেষ করে, ফাঁসির আদেশ করিয়ে ছেড়েছে ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘যে ন্যায়বিচার কলকাতা পুলিশ অভয়াকে দিতে শুরু করেছিল ৷ যে ন্যায়বিচারের কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সেটাই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আজ, সিবিআইয়ের কণ্ঠে ৷’’

কলকাতা, 3 জানুয়ারি: সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক সঞ্জয় রায়কে, আদালতে এমনই সওয়াল করেছে সিবিআই ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের মামলায় আদালতে ফাইনাল ক্লোজিং সাবমিশন পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরো ৷ সেখানেই তারা ধর্ষণ-খুনের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ ফাঁসির সাজা দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছে ৷

সাধারণত অপরাধের ধরন বিরলের মধ্যে বিরলতম হলেই অপরাধীকে সর্বোচ্চ সাজা শোনায় আদালত ৷ আরজি করের ঘটনাও বিরলের মধ্যে বিরলতম বলেই আদালতে সিবিআই দাবি করেছে ৷ সেখানে তারা এই ঘটনাকে ‘জঘন্যতম’ বলেও উল্লেখ করেছে ৷ সেই কারণেই কেন্দ্রীয় এই সংস্থা সঞ্জয়ের রায়কে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার পক্ষে বলেই জানিয়েছে আদালতে ৷

আরজি করে ধর্ষণ-খুন মামলার শুনানি চলছে শিয়ালদা আদালতে ৷ ইতিমধ্যে সিবিআই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ৷ চার্জগঠনও হয়েছে ৷ তার পর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয় ৷ খুব শীঘ্রই এই মামলার রায় বের হতে পারে বলেও খবর ৷ তাই শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের সওয়াল মেনে বিচারক সঞ্জয় রায়কে সর্বোচ্চ সাজা দেন, নাকি অন্য কোনও রায় দেন, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন সকলে ৷

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছিল গত 9 অগস্ট সকালে ৷ সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে কলকাতা পুলিশে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশই ৷ পরে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে ৷ সিবিআইও সঞ্জয়কেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে চার্জশিট জমা দেয় ৷

এই ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সিবিআই আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল ৷ তাঁদের একজন অভিজিৎ মণ্ডল ৷ তিনি ঘটনার সময় টালা থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ওই থানা এলাকার মধ্যেই অবস্থিত ৷ দ্বিতীয়জন সন্দীপ ঘোষ ৷ তিনি ঘটনার সময় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদে ছিলেন ৷

কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে চার্জশিট পেশ করতে পারেনি সিবিআই ৷ সেই কারণেই আদালত দু’জনকেই জামিন দেয় ৷ অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেয়ে কারাগারের বাইরে আসতে পারলেও সন্দীপ ঘোষ এখনও জেলবন্দি ৷ কারণ, তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ সেই মামলাতেই এখন তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ৷ আপাতত তাঁর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার৷ সেখানেই রয়েছেন সঞ্জয় রায়ও ৷

এই সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ উঠেছিল ৷ আরজি করের ঘটনার পর জুনিয়র চিকিৎসকরা যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, সেই আন্দোলনে বারবার এই অভিযোগ উঠেছিল ৷ অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, সন্দীপ ঘোষই এই ঘটনার মূলচক্রী ৷ শুধু সন্দীপ নন, আরও অনেকে এই মামলায় জড়িত বলেও অভিযোগ ওঠে ৷

যদিও সিবিআই অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সঞ্জয়, সন্দীপ ও অভিজিৎ ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করেনি ৷ তাই আগামিদিনে এই মামলায় আর কেউ গ্রেফতার হবেন কি না, সেটাই দেখার ৷ তাছাড়া সন্দীপ ও অভিজিতের বিরুদ্ধে সিবিআই কবে চার্জশিট পেশ করতে পারে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন ৷ আর এই প্রশ্নগুলির অপেক্ষায় রয়েছেন আরজি কর-কাণ্ডে নিহত নির্যাতিতার মা-বাবা থেকে বাংলার সাধারণ নাগিরক, সকলেই ৷

এর মধ্যেই এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘সিবিআই আদালতে সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে ৷ এই দাবি তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন তুলেছিলেন ৷ আর কলকাতা পুলিশ 24 ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল ৷ জয়নগরের মতো আরজি করের পরের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ, মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ তদন্ত করে, গ্রেফতার করে, চার্জশিট দিয়ে, ট্রায়াল শেষ করে, ফাঁসির আদেশ করিয়ে ছেড়েছে ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘যে ন্যায়বিচার কলকাতা পুলিশ অভয়াকে দিতে শুরু করেছিল ৷ যে ন্যায়বিচারের কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সেটাই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আজ, সিবিআইয়ের কণ্ঠে ৷’’

Last Updated : Jan 3, 2025, 6:33 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.