জলপাইগুড়ি, 10 ফেব্রুয়ারি: চকলেটের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে ৷ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর অভিযুক্ত তার স্কুল ব্যাগে প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট ভরে দেয় অভিযুক্ত এক টোটোচালক ৷ কাউকে বলে দিলে পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মারার হুমকি দেয় সে ৷ তারপর বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যায় ৷ স্কুলছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের পরই গ্রেফতার হয় ওই টোটোচালক। জলপাইগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ, রবিবার অভিযুক্তকে আদালতে তোলার পর তাকে 4 দিনের হেফাজতে পেয়েছে ৷
জলপাইগুড়ি মহিলা থানার অন্তর্গত সদর ব্লকের বাসিন্দা ওই নাবালিকা স্কুল ছাত্রী। ঘটনার সূত্রপাত গত 21 জানুয়ারি। শহরেরই একটি স্কুলের পড়ুয়া সে ৷ সেদিন ওই নাবালিকা স্কুলে আসে টোটো করে ৷ টোটোচালক নাবালিকার পরিচিত ৷ নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, 26 বছর বয়সি ওই টোটো চালক নাবালিকাকে টোটোতে তুলেছিল। তাকে স্কুলে না-নিয়ে গিয়ে শহরের তিস্তা উদ্যান এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে জোর করে নাবালিকাকে চকলেট খাইয়ে দেওয়া হয়।
চকলেটে কিছু মিশিয়ে দেওয়ার কারণে তাঁদের মেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। অভিযোগ, এরপর তিস্তা পাড়ের নির্জন এলাকায় নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ওই টোটোচালক । এরপর তাকে তাঁর বাড়ি সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায়। এরই মধ্যে বাড়িতে মেয়েটির কাছ থেকে একটি প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট পায় পরিবারের লোকজনরা। মেয়েকে চেপে ধরতেই সে সব কথা খুলে বলে। কাউকে কিছু বললে পরিবারের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্ত ৷ তাই সে কিছু বলেনি ৷ আর প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট টোটোচালকই ছাত্রীর ব্য়াগে দিয়েছিল বলে পরিবারকে জানায় ওই নাবালিকা ৷
এরপরেই পরিবারের তরফে জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পরিবার। অন্যদিকে, অভিযুক্ত যুবক জানায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় জানান, নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে টোটোচালককে গ্রেফতার করেছে জলপাইগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ টিম অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। চারদিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তাকে। সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।