বোলপুর, 3 জানুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই দেউচা-পাচামি নিয়ে বৈঠক করতে বীরভূমে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি । বোলপুর স্টেশনে নেমে মহম্মদবাজার বিডিও অফিসের উদ্দেশে রওনা দিলেন আমলারা ৷ স্থানীয় আদিবাসী মানুষজনের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানালেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ৷ জানা গিয়েছে, কাজের গতি নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন তাঁরা ৷
প্রসঙ্গত, দেউচা-পাচামি খোলামুখ কয়লা খনির কাজের গতি হ্রাস পেয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । 2 জানুয়ারি নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জেলাশাসক বিধান রায়কে রীতিমতো ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী । দেউচা-পাচামিতে খোলামুখ কয়লা খনির কাজের গতি কমে গিয়েছে, খাপছাড়া ভাবে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে । এই নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী । তারপরেই এদিন বীরভূমে এলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিডিসিএল-এর সচিব পিবি সেলিম ।
রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এদিন বলেন, "সবাইকে নিয়ে একটি বৈঠক করব ৷ তারপর আদিবাসী মানুষজনের সঙ্গেও কথা বলব । সিএম ম্যাডামের নির্দেশেই আসা ৷"
বোলপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে তাঁরা এদিন সোজা মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির দফতরে যান ৷ জানা গিয়েছে, সেখানে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হবে ৷ মুখ্যসচিব, ডিজি, পিডিসিএল-এর সচিব-সহ জেলাশাসক বিধান রায়, এডিজি (পশ্চিমাঞ্চল) অশোক প্রসাদ, ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) শ্যাম সিং, জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, দুই অতিরিক্ত জেলা পুলিশ, বিডিও মহম্মদবাজার ও অন্যান্য আধিকারিকেরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ৷ পরে মহম্মদবাজারের বিডিও অফিসের সভাকক্ষে স্থানীয় আদিবাসী মানুষজনের সঙ্গে কথা বলবেন আমলারা ৷
উল্লেখ্য, দেউচা-পাচামিতে কয়লা খনির জন্য এখনও বহু মানুষ জমি দিতে নারাজ ৷ এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা । একাধিক আদিবাসী সংগঠন রয়েছে এই আন্দোলনে ৷ এছাড়াও, যাঁরা জমি দিয়েছেন, তাঁরা বহুক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন । জমি দিয়ে অনেকেই ঠিকমতো চাকরি পাননি বা ন্যায্য মূল্য পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে ৷ ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খোলা মুখ কয়লা খনি প্রকল্প এখনও বিশবাঁও জলে । যা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী ।