মালদা, 20 জানুয়ারি: আবারও মালদা টাউন স্টেশন থেকে উদ্ধার হল বিপুল অংকের মাদক ৷ রেল পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এক মাদক কারবারিও ৷ রবিবার রাতে কাটিহার-হাওড়া এক্সপ্রেসে ওই মাদক উদ্ধার করে রেল পুলিশ ৷ উদ্ধার হওয়া মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় 10 কোটি টাকা বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে ৷ সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতকে সোমবার মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয় ৷ সাম্প্রতিক সময়ে বারবার মালদা টাউন স্টেশনে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় চিন্তিত রেল পুলিশ কর্তৃপক্ষও ৷
রবিবার কলকাতা এসটিএফ মারফৎ মালদা টাউন স্টেশন জিআরপি থানার আধিকারিকরা জানতে পারেন, কাটিহার-হাওড়া এক্সপ্রেসে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার হচ্ছে ৷ সেই খবর পেয়েই মালদা টাউন স্টেশনে জাল পাতেন রেল পুলিশকর্মীরা ৷ ওই ট্রেনটি মালদা স্টেশনে পৌঁছলে অসংরক্ষিত কামরা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয় ৷ তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় পাঁচ প্যাকেট মাদক ৷ তার ওজন দু'কিলো 98 গ্রাম ৷ এরপরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় ৷ ধৃতের নাম ইসমাইল শেখ ৷ বয়স 39 বছর ৷ বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানার অধীনস্ত চাঁদনিচক গ্রামে ৷
এদিন মালদা টাউন স্টেশন জিআরপি থানার আইসি প্রশান্ত রাই বলেন, "গতকাল রাতে কলকাতা এসটিএফ থেকে আমাদের কাছে খবর আসে, কাটিহার-হাওড়া এক্সপ্রেসে মাদক পাচার হচ্ছে ৷ এক ব্যক্তি সেই মাদক পাচার করছে ৷ আমরা সেই খবরের ভিত্তিতে ওই ট্রেনে তল্লাশি চালাই ৷ এক ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয় ৷ তার সঙ্গে থাকা হ্যান্ডব্যাগ থেকে পাঁচ প্যাকেট ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ তার পরিমাণ প্রায় দু'কিলো 100 গ্রাম ৷ আমরা সেই মাদক বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি লোকটিকে গ্রেফতার করেছি ৷ উদ্ধার হওয়া ব্রাউন সুগারের বাজারমূল্য 10 কোটি টাকার বেশি ৷ জেরায় ধৃত পাচারকারি জানিয়েছে, সে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর থেকে এই মাদক সংগ্রহ করেছিল ৷"
তাঁর কথায়, "ডিমাপুর থেকে ট্রেন ধরে সে প্রথমে নিউ জলপাইগুড়ি আসে ৷ সেখান থেকে আরেকটি ট্রেনে কাটিহার পৌঁছয় ৷ কাটিহার থেকে সে হাওড়াগামী ট্রেন ধরে ৷ প্রতি ক্ষেত্রেই অসংরক্ষিত কামরায় যাত্রা করছিল সে ৷ ফরাক্কায় ট্রেন থেকে নামার কথা ছিল তার ৷ তার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানা এলাকায় ৷ সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতকে আজ মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হবে ৷ এনিয়ে মালদা স্টেশনে মাদক উদ্ধারের একাধিক ঘটনা ঘটল ৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি থেকে মাদক নিয়ে আসা হয়েছে ৷ এনিয়ে আমরাও চিন্তিত ৷ কীভাবে এই মাদক পাচার বন্ধ করা যায়, আমরা তার চেষ্টা করছি ৷"