জলপাইগুড়ি ও মাথাভাঙা, 20 জানুয়ারি: আরজি কর মামলায় সাজা ঘোষণার দিনেই, রাজ্যে আরও দু’টি মামলার সাজা ঘোষণা হল ৷ একটি ঘটনা হল, 6 বছরের নাবালকের যৌন নিগ্রহ ৷ আরেকটি এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ৷ এই দুই ঘটনায় দোষীদের যথাক্রমে 20 বছরের ও 10 বছরের সাজা শোনাল জলপাইগুড়ি পকসো আদালত এবং মাথাভাঙা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত ৷
জলপাইগুড়ি
সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা ও দায়রার পকসো আদালত নাবালকের যৌন নিগ্রহে দোষী সাব্যস্তকে 20 বছরের কারাদণ্ড ও 50 হাজার টাকা জরিমানার সাজা দিয়েছে ৷ সঙ্গে অনাদায়ে আরও একমাসের জেলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক রিন্টু সুর ৷ সেই সঙ্গে নাবালককে 4 লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিস্ট্রিক লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে ৷
সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন, 2019 সালে 29 অক্টোবর জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ থানা এলাকার একটি কালী পুজোর প্যান্ডেলের সামনে খেলছিল 6 বছরের এক শিশু ৷ তখন কল্যাণ রায় নামে এক যুবক তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে, স্থানীয় একটি চা-বাগানে নিয়ে যায় ৷ অভিযোগ, সেখানে শিশুটির যৌন নিগ্রহ করে সে ৷ পরে বাড়িতে বিষয়টি জানায় নাবালক ৷
পরিবারের সদস্যরা তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে রাজগঞ্জ থানায় ওই দিনই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা ৷ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনের 6 নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয় ৷ পুলিশ অভিযুক্ত কল্যাণ রায়কে গ্রেফতার করে ৷ এই মামলার শুনানি ও বিচার প্রক্রিয়ায় মোট 8 জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় ৷ আইনজীবী দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে এ দিনই সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক রিন্টু সুর ৷
মাথাভাঙা
এদিনই কোচবিহার জেলার মাথাভাঙায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্তকে 10 বছরের কারাদণ্ড ও 10 হাজার টাকার জরিমানার সাজা শোনালো মাথাভাঙা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত ৷ সোমবার দুপুরে সাজা ঘোষণা করেন বিচারক ৷ 2021 সালের ঘটনায় গত শনিবার অভিযুক্ত জয়নাল আবেদিনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক রাজেশ তামাং ৷
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকা দর্জির কাছে জামা বানাতে দিয়েছিলেন ৷ জামা তৈরির পর তার মাপ ঠিক হচ্ছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য যায় সে ৷ অভিযোগ ওঠে, সেই সময় দোকানে ও আশেপাশে কেউ না-থাকার সুযোগ নেয় জয়নাল আবেদিন ৷ সে নাবালিকার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয় ৷ মাথাভাঙা থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয় ৷
এই ঘটনায় পকসো আইনে পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত করে ৷ সেই মতো পুলিশ চার্জশিট তৈরি করে ৷ প্রায় 4 বছর শুনানি ও বিচার প্রক্রিয়া চলার পর গত শনিবার বিচারক জয়নাল আবেদিনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত ৷ সরকারি আইনজীবী আবু ফাত্তাহ হক বলেন, "2021 সালে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার মাথাভাঙা অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত দোষী জয়নাল আবেদিনকে 10 বছরের জেল ও 10 হাজার টাকা জরিমানার সাজা শুনিয়েছে ৷"