কলকাতা, 12 জুলাই: টাকা নিয়ে হকার বসাতে দেখলে কাউন্সিলরকেও গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার কলকাতা পুরনিগমের মাসিক অধিবেশনে নিন্দাপ্রস্তাব উত্থাপন করেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ ৷ এর পালটা প্রতিবাদ করেন শাসক দলের কাউন্সিলররা ৷ কলকাতা পুরনিগমে চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ৷
কলকাতা পুরনিগমে তৃণমূল-বিজেপির হই হট্টগোল (ইটিভি ভারত) এই প্রসঙ্গেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম দিলেন কড়া বার্তা ৷ বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, "একদিন আমরাও বাম আমলের অপারেশন সান সাইনের বিরোধিতা করেছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন ৷ এখন দেখছি পার্ট টু চলছে ৷ বুলডোজার দিয়ে দোকানগুলো ভেঙে দেওয়া হল। মেয়র, দেবাশিস বাবুকে ভর্ৎসনা করছে আমি ৷ কাউন্সিলর হিসেবে প্রতিবাদ করছি মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের ৷ সরকার সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করুক।"
তিনি আরও বলেন, "হকারদের সঠিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কাউন্সিলররা হকার বসিয়ে টাকা নেন! আপনারা কি তাই করেন ? আমি একজন কাউন্সিলর হয়ে এই মন্তব্যের নিন্দা করছি। খুবই লজ্জার বিষয় ৷" এই বক্তব্য বলা মাত্রই হইহই করে ওঠেন শাসক দলের কাউন্সিলরদের একাংশ ৷ তৃণমূল কাউন্সিলররা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের মন্তব্য করেননি ৷ আপনি বসুন ৷" এরপর মহম্মদ জসীমউদ্দিন, অলকানন্দা, তপন দাশগুপ্ত-সহ একাধিক কাউন্সিলরের সঙ্গে উত্ত্যক্ত বাক্য বিনিময় হয়। বচসায় সজলের পাশে থেকেই তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝা ৷
এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি কটাক্ষ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "আগে বার বার বলেছি। আবার বলছি, কলকাতার কোথাও হকার উচ্ছেদ হয়নি ৷ হকার মানে পার্মানেন্ট দোকান নয় ৷ টিনের শেড দেবে, ইট দিয়ে দোকান করে নেবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তাঁদের জন্য গোডাউন করতে ৷ আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি ৷ বিরোধী ভাইদের কাজ নেই তো খই ভাজ ৷ হকারদের সমস্যা মিটে গিয়েছে ৷ এখন বিরোধীদের ঘুম ভেঙেছে ৷ একটা হকার তাঁদের নেই। একটা ইউনিয়ন তাঁদের নেই। যেসব জায়গায় সরকারি জমিতে বেআইনি দখল হয়েছে, সেখানে উচ্ছেদ হয়েছে ৷ আমাদের সংস্কৃতি বুলডোজার নয় ৷ তাদের সংস্কৃতি বুলডোজার। এটা হচ্ছে তাদের কমপিটিশন ৷ সিপিএম করেছে, বিজেপি না করলে অমিত শাহ রেগে যাবে।"