জলপাইগুড়ি, 3 জুলাই: শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় । শহরের দিনবাজার এলাকায় গুলিকাণ্ডে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এরপরই শহরের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন শাসক দলের এই নেতা ৷ পাশাপাশি শহরে ড্রাগসের কারবারও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চেয়ারম্যান পাপিয়া পালও ৷
পুরসভা এলাকার সরকারি জমি থেকে শুরু করে ফুটপাত দখল-সহ একাধিক বিষয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার তরফে জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। পুরসভার পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে করে দেখা করে এলাকার সমস্যা সমাধানে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হল।
জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান (ইটিভি ভারত) শনিবার পুরাসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল, ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়, চেয়ারম্যান ইন-কাউন্সিল সন্দিল মাহাত-সহ অফিস সুপারিন্টেন্ডেন্ট তাপস সাহা পুলিশ সুপারের দফতরে বৈঠক করেন। পরে পুরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল বলেন, "আমরা শহরের বেশ কিছু বিষয় নিয়েই জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শহরের দিনবাজারের গুলি চলল তাতে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। পাশাপাশি সরকারি জমি দখল মুক্ত করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। শহরে যথেচ্ছভাবে ই-রিক্সা চলাচল করছে, যার জেরে শহরের যানজট হচ্ছে। পুরসভার পক্ষ থেকে ফুটপাত অভিযান করা হবে। শহরে হকারদের পুর্নাবাসনও দেওয়া হবে। সেইসব নিয়েই আলোচনা হয়েছে ৷"
জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় জানান, জলপাইগুড়ি শান্তির শহর হলেও বেশ কিছুদিন ধরেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দিনবাজারে গুলি চলার ঘটনা গত মাসে হয়েছিল। সেই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি ৷ তাঁর কথায়, "আমরা পুলিশ সুপারকে দুস্কৃতীদের ধরতে বলেছি। আগামী 6 তারিখ থেকে পুরসভার তরফে আমরা ড্রাগ বিরোধী সচেতেনতা অভিযান করব। যেসব হকার ডালা নিয়ে যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে হকারি করছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযানও চালাব।"
একই সঙ্গে তিনি বলেন, "জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজারে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় এখনও কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। শহরে ড্রাগস চক্রও মাথা চাড়া দিয়েছে। আগামিদিনে টোটো রিক্সা নিয়েও আমরা বৈঠক করব। শহরে টোটো যারা চালাবেন তাদের পরিচয়পত্র রাখতে হবে। পাঁচ হাজার টোটো আর শহরে চলতে দেওয়া হবে না।" তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টোটো শহরে চলবে বলেও জানান তিনি। এদিকে পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে বলেন, "আমরা গুলিকাণ্ডে দুস্কৃতীদের ধরার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি পুরসভার বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"