দার্জিলিং, 11 মে: গোপনসূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশে পাচারের আগে গবাদি পশু-সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করল বিএসএফ। শনিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পরে ধৃত দুই পাচারকারীকে এদিন নিউ জলপাইগুড়ি থানার হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল নাগাদ গোপনসূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি এলাকায় ফাঁদ পাতে বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের 176 ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। সেই সময় নাগাল্যান্ড নম্বরের একটি কন্টেনার ট্রাককে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। সন্দেহভাজন ট্রাকটিকে 31 নম্বর জাতীয় সড়কে ফুলবাড়ি টোল প্লাজায় আটকানো হয়। ট্রাকটি শিলিগুড়ির মহানন্দা ব্যারেজ হয়ে আসছিল বলে খবর। বিএসএফ ট্রাকটিকে আটকাতেই ট্রাকের চালক ও খালাসি সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়। এরপর ট্রাকটিতে তল্লাশি চালালে কন্টেনারের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় 39টি গবাদি পশু।
কন্টেনার খুললে কন্টেনারের ভিতরে লুকিয়ে থাকা দু'জন পাচারকারীকে আটক করে জওয়ানরা। পাশাপাশি জওয়ানরা ওই 39টি মহিষও বাজেয়াপ্ত করা হয়। উদ্ধার হওয়া গবাদিপশুর বাজার মূল্য প্রায় 21 লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের একজন বিহারের সহরসা জেলার রানীবাগের বাসিন্দা মহম্মদ সোনি ও অন্যজন চম্পারনের বাসিন্দা মহম্মদ ইসলিহান। এই বিষয়ে বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি সুর্যকান্ত শর্মা বলেন, "অভিযানে ওই মহিষগুলোকে বাজেয়াপ্ত করে খোয়ারে পাঠানো হয়েছে। পাচারকারীদের পুলিশের হাতে তদন্তের জন্য তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। বিহার থেকে ওই মহিষ বাংলাদেশে পাচারের পরিকল্পনা ছিল।"