ঢাকা, 19 ফেব্রুয়ারি: সরকার পতনের পর দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ সম্প্রতি, তাঁকে দেশে ফেরাতে মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ৷ মঙ্গলবার সেই কথা আরও একবার সাফ জানিয়ে দিল অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের দফতর ৷
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য এর আগেও ভারত সরকারকে চিঠি লেখা হয় ইউনুস প্রশাসনের তরফে ৷ বাতিল করে দেওয়া হয় তাঁর পাসপোর্ট ৷ যদিও, সেই সমস্যার সমাধান এখনও হয়নি ৷ বরং, মুজিবকন্যার ভিসার মেয়াদ আরও বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি ৷ তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে তারা অনড়, তা আরও একবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল বাংলাদেশ ৷
এদিন এক সাংবাদিক বিবৃতিতে ইউনুস সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যর্পণে যথাযথ চেষ্টা চালিয়ে যাবে ঢাকা ৷ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে ৷ সেই সমস্ত মামলার শুনানি করার জন্য হাসিনার প্রত্যর্পণ খুব জরুরি বলে জানান শফিকুল ৷ তাঁর দাবি, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে ভারতের এক সংবাদমাধ্যম সমীক্ষা করে ৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, 55 শতাংশ ভারতীয় চান তাঁকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হোক ৷ তবে, 16-17 শতাংশ মানুষ চান তিনি ভারতে থেকে যান ৷
মুখপাত্র শফিকুল আরও জানান, গত সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার অফিসের (ওএইচসিএইচআর) তরফে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে ৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর সময়কালে একাধিক মানবতা বিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন শেখ হাসিনা ৷
প্রসঙ্গত, শফিকুল আলমের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার আগে দেশে ফেরার বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "আমি দেশে ফিরব এবং আমাদের পুলিশকর্মীদের হত্যার প্রতিশোধ নেব ৷" তিনি আরও জানান, সরকার পতনের সময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ৷ এরপরই ইউনুস সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘরে পরিণত করেছে ইউনুস সরকার ৷ তবে দেশে ফিরে এর প্রতিশোধ নেব ৷"