রায়গঞ্জ, 6 অগস্ট: বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির জেরে পদত্যাগ দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি হয়েছে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। যদিও তার কোনও প্রভাব পড়েনি উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের মালন সীমান্তে। কাঁটাতারের এপারে স্বাভাবিক ছন্দেই চলছে জনজীবন। কাঁটাতার পেরিয়ে ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে কৃষিকাজও চলছে স্বাভাবিক গতিতে। সীমান্তে কড়া নজরদারি রয়েছে বিএসএফের।
সীমান্তে কড়া নজরদারি রয়েছে বিএসএফের (ইটিভি ভারত) সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদ ত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বহু মানুশের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছিল যে শেষ পর্যন্ত হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। বর্তমানে বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। এদিকে বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির কারণে ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে জারি হয়েছে হাইএলার্ট। ওপারে অশান্তির আঁচ যাতে এপার বাংলায় কোনও প্রভাব ফেলতে না-পারে তার জন্য সদা সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
একই ছবি উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের মালন সীমান্তে। এই এলাকাটির বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে রয়েছে কাঁটাতার। কাঁটাতারের এপারেই বাংলাদেশ। যদিও বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির জেরে কোনও প্রভাব পড়েনি এপারের মালন এলাকায় ৷ আর পাঁচটা দিনের মতোই সমস্ত কিছু স্বাভাবিক। খোলা রয়েছে বাজার ঘাট, দোকান পসার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই এলাকার সিংহভাগ মানুষই কৃষিজীবী।
কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে চাষবাসের জন্য তাদের যেতে হয়। সেই কাজেও কোনও প্রভাব নেই। রোজ খাতায় নাম লিখে যেমন ওপারে জমিতে কাজ করতে যান তেমনভাবে এখনও যাচ্ছেন সকলেই। বিএসএফ সব রকম সহযোগীতা করছে বলেই জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার খবরে অনেকেই হতবাক। এই ঘটনার জেরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক তা বুঝতে পারছেন গ্রামবাসীরা। যদিও তাঁদের এলাকায় আগের মতো স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রয়েছে। একই বক্তব্য গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ক্ষীরোদ চন্দ্র বর্মনেরও। তিনিও জানান, এপারে সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্তে বিএসএফ সব সময় সতর্ক রয়েছে।