নদিয়া, 4 মার্চ:ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় আগুন ধরিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা মহিলা বিজেপি সমর্থককে ৷ সম্প্রতি কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় গিয়েছিলেন ওই মহিলা ৷ তারপর তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয় ৷ অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদা থানার শিমুরালি এলাকার। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷
অভিযোগ, জয়ন্তী দাস নামে ঘোষপাড়ার বাসিন্দা বরাবরই বিজেপি সমর্থক । শনিবার কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনসভা করেছিলেন ৷ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওই মহিলা । সভা থেকে ফিরে প্রতিদিনের মতোই শনিবার রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন ওই মহিলা । সেই সময়েই বিছানায় পাশের খোলা জানালা দিয়ে কেউ বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয় ৷ বিছানার পাশ থেকে একটি পোড়া পাটকাঠির অংশ বিশেষ পাওয়া গিয়েছে ৷
প্রাথমিকভাবে ওই মহিলার বাড়ির সদস্যদের অনুমান, পাটকাঠিতে আগুন জ্বালিয়ে সেটি ওই মহিলার ঘরের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল ৷ সেই আগুনে পুড়ে গিয়েছে মশারির বেশ খানিকটা অংশ। পাশাপাশি আগুনে ওই বধূও আহত হয়েছেন ৷ চুলের কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে বলে দাবি ওই মহিলার ৷ ঘটনার পর থেকে যথেষ্টই আতঙ্কিত দাস পরিবার । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজতৈনিক তরজা শুরু হয়েছে ৷
তৃণমূলের দাবি, ওই মহিলার স্বামী কার্তিক দাস তৃণমূল কর্মী ৷ এই ঘটনার যথেষ্ট নিন্দা প্রকাশ করছেন। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, আসন্ন লোকসভা ভোটে নিজেদের হেরে যাওয়া নিশ্চিত বুঝতে পেরে বিজেপি কর্মীদের প্রাণনাশের চেষ্টা করছে শাসকদল। স্থানীয় সাংসদ তথা 2024 লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, "এই ঘটনা নতুন কিছু নয়, সন্দেশখালিতে যেভাবে তৃণমূল অত্যাচার চালিয়েছে, ঠিক সেইরকম রাজ্য জুড়েই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। সেই কারণেই নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যোগ দেওয়ায় ওই বিজিপি কর্মীকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করছেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রশাসন কী ব্যবস্থা করবে, জানি না। তবে আমরা ওই গৃহবধূর বাড়িতে যাব ৷" পাশাপাশি ওই মহিলাকে সবরকম সাহায্যেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন:
- দুর্ঘটনার কবলে সুকান্তর কনভয়, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন নেতা
- আগামী 5 বছর কোন পথে দেশের উন্নতি? ভোটের আগেই বৈঠক সেরে রাখল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা
- ভোটের আগে শেষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি