বর্ধমান, 18 অগস্ট: আদিবাসী তরুণীকে খুনের ঘটনার পর প্রায় চারদিন কেটে গেলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি । এই অবস্থায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হল আদিবাসীদের সংগঠন 'ভারত জাকাত মাঝি পরগণা মহল'।
আদিবাসী তরুণী খুনের প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে মিছিল (ইটিভি ভারত) আদিবাসী পুরুষ-মহিলারা এদিন তির-ধনুক-লাঠি ও টাঙি নিয়ে বর্ধমানের গাংপুর সংলগ্ন 19 নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে । অভিযোগ, শুধুমাত্র দলিত পরিবারের মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রশাসন ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে ৷ কিন্তু আদিবাসী সমাজ ও সংগঠন জেগে আছে ৷ দোষীকে গ্রেফতার না করতে পারলে, তাদের আন্দোলন আরও জোরদার হবে ৷ এদিন আদিবাসীদের অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয় ।
প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড়ে গলার নলি কাটা অবস্থায় এক আদিবাসী তরুণীর দেহ উদ্ধার হয় । আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাত দখলের দিনে এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলাজুড়ে । এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, ইতিমধ্যে 9 সদস্যের এক তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে । তাঁরা ঘটনার তদন্ত করছেন । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের হাতে এসেছে । কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি ৷
বিষয়টি নিয়ে রাজ্য বিজেপির এসটি মোর্চার সভাপতি জয়েল মুর্মু বলেন, "পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হলে আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাব । আমরা আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নেমেছি । ঘটনার পরে চারদিন কেটে গেলেও কেউ গ্রেফতার হল না । পুলিশ কি গ্রেফতার করতে পারত না ? শুধুমাত্র আদিবাসী পরিবারের তরুণী বলেই আজ সেই ঘটনাকে গুরুত্ব না দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ প্রশাসন । যেখানে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে সারাদেশ জুড়ে তোলপাড় চলছে সেখানে এই ঘটনায় কেন এখনও তদন্ত শুরু হল না ? তাই আমরা রাস্তা অবরোধ করেছি । যতদিন না পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার করে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে ততদিন আমাদের এই আন্দোলন চলবে । শুধু বর্ধমান জেলা নয় এই ধরনের দশ থেকে বারোটা কেসকে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে ।"
এদিনের বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয় ।