জলপাইগুড়ি, 7 নভেম্বর: সাড়ে তিন দশকের খরা কাটিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা থেকে বাংলা রঞ্জি দলে ঋষভ বিবেক ৷ ক্রিকেটের জন্য একসময় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরি ছেড়েছিলেন ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসার ৷ আর লক্ষ্যে অবিচল থেকে বুধবার বাংলার হয়ে রঞ্জিতে আত্মপ্রকাশ হল তপন মেমোরিয়ালের এই ক্রিকেটারের ৷ দ্বিতীয়দিনটা আরও স্মরণীয় হয়ে থাকল তাঁর জন্য ৷ দ্বিতীয়দিন চিন্নাস্বামীতে কর্ণাটকের জোড়া উইকেট তুলে নিলেন 2021 পলিটেকনিক উত্তীর্ণ হওয়া ঋষভ ৷
ছেলের রঞ্জি অভিষেকে বেজায় খুশি বাবা সুনীল বিবেক ৷ সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে একদা কর্মরত ঋষভের বাবা জানান, ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটে আগ্রহ ঋষভের ৷ বি-টেক পাশের পর চাকরিও পেয়েছিল সে ৷ কিন্তু ক্রিকেটের জন্যই ঋষভ চাকরি ছেড়ে দেয় বলে জানান বাবা ৷ প্রথমে খারাপ লাগলেও আজ ভীষণ খুশি বলে দাবি সুনীল বিবেকের ৷
অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদারের শতরানে ভর করে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে বাংলার প্রথম ইনিংস বৃহস্পতিবার শেষ হয় 301 রানে ৷ অধিনায়কের 101 রানের পাশাপাশি অর্ধশতরান (51) আসে শাহবাজ আহমেদের ব্য়াটে ৷ কর্ণাটকের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন বাসুকি কৌশিক ৷ জবাবে 97 রানে কর্ণাটকের পাঁচ উইকেট বাংলা তুলে নিলেও দিনের শেষে পাঁচ উইকেটে 155 রান কর্ণাটকের ৷ অভিনব মনোহরের অপরাজিত অর্ধশতরানে খানিকটা লড়াইয়ে দক্ষিণের রাজ্য ৷ কর্ণাটকের স্টাম্পার-ব্যাটার সুজয় সাতেরি (26) ও অভিজ্ঞ মণীশ পাণ্ডের (0) উইকেট তুলে নেন ঋষভ বিবেক ৷
বাংলার হয়ে বাকি তিন উইকেটের মধ্যে দু'টি সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ও একটি ঈশান পোড়েলের ৷ আগামিকাল আরও উইকেটের প্রত্যাশা থাকবে জলপাইগুড়ির ক্রিকেটারের থেকে ৷ ঋষভের সাফল্যে খুশি জলপাইগুড়ি ক্রীড়া সংস্থা ৷ বুধবার সংস্থার কার্যকরী সভাপতি গৌতম দাস জানান, জলপাইগুড়ি ক্রীড়া সংস্থা আজ গর্বিত। বিহারের বাসিন্দা হলেও 20 বছর ধরে জলপাইগুড়িতেই ঋষভের পরিবারের বসবাস। জেলার রানিনগরে সীমান্তরক্ষীবাহিনীর অফিসার পদে ছিলেন ঋষভের বাবা। পড়াশোনাতেও মেধাবী ঋষভ 97 শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছিল ৷
জেলার ছেলের সাফল্যে জলপাইগুড়ি ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সুহৃদ মণ্ডল বলেন, "জলপাইগুড়ির ছেলে সুদীপ চন্দ 35 বছর আগে রঞ্জি খেলেছিল।বর্তমানে তিনি এখন কোচিং করান। 35 বছর পর ঋষভ রঞ্জিতে সুযোগ পেল ৷ স্বাভাবিকভাবে আমাদের আজ খুব আনন্দের দিন।"