কলকাতা, 15 ডিসেম্বর: টানা হারের নজির মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। আইএসএলের 11টি ম্যাচে আটটিতে পরাজয়। 2টো ড্র এবং একটি জয় এসেছিল। তবে কবে আন্দ্রে চের্নিশভের ছেলেরা জয় পেয়েছিল তা মনে করতে বেশ খানিকটা সময় লাগতে পারে। রবিবার কলকাতায় মরশুমের শীতলতম দিনে মুম্বই সিটি এফসির কাছে 0-1 গোলে পরাজিত মহমেডান স্পোর্টিং। বিক্রমজিৎ সিংয়ের দূরপাল্লার শটে জয় মুম্বইয়ের। এর ফলে তারা 7 নম্বরে উঠে এল। 13 নম্বরে আটকে মহমেডান স্পোর্টিং।
"আস্থা রাখুন ঘুরে দাঁড়াবে দল," শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলেছিলেন আন্দ্রে চের্নিশভ। কোচের কথায় বিশ্বাস রেখে সাড়ে বারো ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও সাদা-কালো সমর্থকরা স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়ে ছিলেন। খেলার শেষে তাঁদের প্রাপ্তি সেই পরাজয়। অন্তত লড়াই করছে প্রিয় দল-এই আস্থা নিয়ে ফিরতে পারতেন সমর্থকরা! হল না সেটাও। বদলে তাঁরা ইরশাদের লাল কার্ড দেখলেন। গোলরক্ষক ভাস্কর রায়ের ভুলে গোল হজমের মতো অভিজ্ঞতাও হল তাঁদের।
মহামেডান স্পোর্টিংয়ের ফের হার (নিজস্ব ছবি) আইএসএলের মঞ্চে মুম্বই সিটি এফসির মতো দলের বিরুদ্ধে 10 জনে একঘণ্টার বেশি সময় ধরে পাল্লা দেওয়া কঠিন। স্বাভাবিকভাবেই মহমেডান স্পোর্টিং পারেনি। অথচ মুম্বই সিটি এফসির ফুটবলে পরিচিত ঝাঁজটাই ছিল না। আক্রমণে গতি নেই, গোলমুখে আগ্রাসনের অভাব সত্ত্বেও তারা দিনের শেষে জয়ী। কারণ ছোট ভুলে বড় ধাক্কা খাওয়ার বদভ্যাস। 49 মিনিটে বিক্রম প্রতাপ সিং গোল করলেন মহমেডান গোলরক্ষকের ভুল ক্লিয়ারেন্সে ৷
পিছিয়ে পড়ার আগে ফের একটি ভুল করেছিল সাদা-কালো রক্ষণ। সেই ক্ষেত্রে ছাঙতে ফাঁকা বলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। 10 জনে পাল্লা দেওয়া কঠিন। তার উপর ফ্রাঙ্কার মতো 'গোললেস ওয়ান্ডার' থাকলে কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায়। 22 মিনিট পর্যন্ত প্রতিপক্ষ গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিল মহমডান। তারপর শুধুই নিষ্ফলা আক্রমণ।
আন্দ্রে চের্নিশভের দুটো অস্ত্র অ্যালেক্সিস এবং রেমসাঙ্গা। সময় যত এগিয়েছে অ্যালেক্সিসকে জোনাল মার্কিং করতে এবং রেমসাঙ্গার দৌড় বন্ধ করতে মেহেতাব সিং, তিরিরা সফল। ক্রমাগত হারে মহমেডান এতটাই নিষ্প্রভ যে আক্রমণ হানলেও তা অনাবশ্যক ব্যাকপাসে নষ্ট করে ফেলছে। এই বদভ্যাসের কারণেই আইএসএলে মাত্র পাঁচটা গোল করেছে তারা। আন্দ্রে চের্নিশভ এরপরও আস্থা রাখার কথা বলবেন। কর্তারা নতুন ফুটবলার নেওয়ার কথা বলবেন। সাদা-কালো সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধবেন। বাস্তবে প্রাপ্তি হবে শুধুই হার।