মুম্বই, 1 অগস্ট: ক্রিকেটার হওয়ার আগে মহেন্দ্র সিং ধোনির জীবনের গল্প তো সকলেরই জানা ৷ দু'বারের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার আগে খড়গপুর রেলস্টেশনের টিকিট কালেক্টর হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ৷ মাহির জীবনের সেই গল্প অনেকাংশে মিলে যায় বৃহস্পতিতে দেশকে পদক এনে দেওয়া স্বপ্নিল কুসালের সঙ্গে ৷ ঘটনাচক্রে গত ন'বছর ধরে মধ্য রেলওয়েতে টিকিট কালেক্টর হিসেবে কর্মরত তিনিও ৷
সপ্তম ভারতীয় শুটার হিসেবে অলিম্পিক্সে পদক আনলেও 50 মিটার রাইফেল-থ্রি পজিশনে পদক আনা প্রথম শুটার মহারাষ্ট্রের ছেলে স্বপ্নিল ৷ তবে ব্রোঞ্জজয়ীর পরিবারে শুটিংয়ের যে কোনও প্রেক্ষাপট রয়েছে তেমনটা একেবারেই নয় ৷ একইসঙ্গে কোলাপুর খেলাধুলো বলতে ফুটবল বুঝলেও ছক ভেঙে রাইফেল শুটিংয়ে মজেছিলেন স্বপ্নিল ৷ আর সে জন্য নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় কম্বলওয়াড়ি থেকে নাসিকে পাড়ি দেন তিনি ৷
মা সরপঞ্চ এবং বাবা স্কুল প্রধান: স্বপ্নিলের বাবা সুরেশ কুসালে কোলাপুরের জিলা পরিষদ স্কুলের প্রধান ৷ অন্যদিকে মা গ্রামের প্রধান, যে গ্রামে মূলত ওয়ার্কারি সম্প্রদায়ের বসবাস ৷ খেলাধুলোর সঙ্গে যেটুকু যোগ রয়েছে, তা হল ভাই সূরজ কুসালের ৷ একটি স্কুলে খেলাধুলোর শিক্ষক পদে কর্মরত তিনি ৷ সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে শুটিংয়ের প্রতি ঝোঁক বাড়ে শুটারের ৷ পুনের বালেওয়াড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তাঁর শুটিং শিক্ষার হাতেখড়ি ৷ এমনকী শুটিংয়ের তারণায় তিনি কোলাপুর থেকে সে সময় সাংলিত এসে বসবাসও শুরু করেন ৷ পরবর্তীতে ট্রেনিংয়ের জন্য আস্তানা বদলে 2009 সালে তিনি নাসিকেও গিয়েছিলেন ৷ সেখান থেকেই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৷