কলকাতা, 5 অক্টোবর:বেঙ্গালুরু ম্যাচে বিশ্রী হারের পর কার্লেস কুয়াদ্রাতের মত তাঁকে নিয়েও কথা শুরু হয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন জনতার অন্দরে ৷ কিন্তু সমালোচনার জবাব দেওয়ার জন্য় হয়তো মিনি ডার্বিকেই বেছে নিয়েছিলেন হোসে মোলিনা ৷ শনিবার মগজাস্ত্রের লড়াই আন্দ্রে চের্নিশভকে বড়সড় টেক্কা দিলেন এই স্প্য়ানিয়ার্ড ৷ আইএসএলে প্রথম তিন ম্য়াচে দুরন্ত খেলা মহামেডান স্পোর্টিংকে এদিন যুবভারতীতে মাটি ধরাল মোহনবাগান ৷ সবুজ-মেরুন মিনি ডার্বি জিতল 3-0 গোলে ৷
একাদশে শুরু করেই জেমি ম্য়াকলারেনের প্রথম গোল, রক্ষণের গোল হজম না-করা ৷ জয়ের সঙ্গেই মিনি ডার্বি থেকে বাগানের পাওনা অনেক ৷ তবে এদিনের ম্য়াচে সবচেয়ে বড় পাওনা বোধহয় গ্রেগ স্টুয়ার্ট ৷ স্কটিশ মিডিওর কাঁধে চড়েই এদিন শুরু থেকেই প্রেসিং ফুটবলের ফোয়ারা ছোটালেন বাগান ফুটবলাররা ৷ যার ফলও মিলল হাতেনাতে ৷ প্রথম ছত্রিশ মিনিটেই এদিন ডার্বি জিতে নেয় মোলিনার ছেলেরা ৷ আর বাগানের তিন গোলের পিছনেই গ্রেগের অবদান ৷
গ্রেগ এবং ম্য়াকলারেন শুরু করায় এদিন প্রথম একাদশের বাইরে ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস ও জেসন কামিংস ৷ বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় 4-4-1-1 ছকে মোলিনার দল সাজানো প্রথম কাজ দেয় ম্যাচের আট মিনিটে। লিস্টন কোলাসোর কর্নার ব্যাক হেডে স্টুয়ার্ট বাড়িয়ে দিলে হেডে 1-0 করে যান ম্যাকলারেন। শুরুতেই গোল খেয়ে মহামেডান দিগভ্রষ্ট। এদিন অ্যালেক্সিস গোমেজকে কড়া নজরদারিতে রেখেছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা, আপুইয়া, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংরা। সঙ্গে প্রান্ত বরাবর মনবীর এবং লিস্টনের দৌড়, মাঝমাঠে একটু পিছন থেকে গ্রেগের সৃষ্টিশীল ফুটবল মহামেডানকে ব্য়াকফুটে ঠেলে দেয়।
31 মিনিটে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের দ্বিতীয় গোলও সেটপিস থেকে। গ্রেগের মাপা ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন শুভাশিস বসু। 36 মিনিটে সবুজ-মেরুনের তৃতীয় গোল স্টুয়ার্টের একক প্রচেষ্টার ফসল ৷ ওখানেই ম্য়াচ পকেটে পুরে ফেলে বাগান ৷ ফলত দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল না-আসলেও পুরো পয়েন্ট আসতে কোনও অসুবিধা হয়নি ৷ সাত পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে এল মোহনবাগান। সেইসঙ্গে গোল না-খেয়ে আশ্বস্ত করল প্রথমবার রক্ষণে আলবার্তো রড্রিগেজ-টম আলড্রেড জুটি ৷