কলকাতা, 1 জুলাই: সিএফএলের দ্বিতীয় ম্যাচে আটকে গেল মহমেডান স্পোর্টিং। সোমবার ঘরের মাঠে খিদিরপুর ক্লাবের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে উয়াড়ীর বিরুদ্ধে যে সাদা-কালোকে ভয়ঙ্কর মনে হয়েছিল, দ্বিতীয় ম্যাচে তারা অনেকটাই ম্রিয়মাণ।
প্রথম ম্যাচে সজল বাগ, তন্ময় ঘোষদের ভয়ঙ্কর মনে হলেও আক্রমণে বৈচিত্র্য হারিয়ে খিদিরপুরের রক্ষণব্যুহে তাঁরা এদিন দিশেহারা। বিশেষত খিদিরপুরের সুমন রায় এবং প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর দাপুটে ফুটবলের সামনে এদিন সুবিধা করতে পারেনি মহমেডান স্পোর্টিং। ঘরের মাঠে ভালো সংখ্যক দর্শকের সামনে এদিন সময় যত এগোয় ততোই ছন্দ হারায় সাদা-কালো ব্রিগেড। প্রতিপক্ষ মহামেডানের অগোছালো অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে আনে খিদিরপুর। যা থেকে গোল হতে পারত, তবে সাদা-কালো শিবিরের গোলরক্ষক শুভজিৎ দুর্ভেদ্য না-হয়ে উঠলে মহমেডানকে এদিন শূন্য হাতে ফিরতে হত।
গত মরশুম থেকে কলকাতা লিগ এখন ভারতীয় ফুটবলারদের জন্য বরাদ্দ। যা প্রতিশ্রুতিমান ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার কিংবা স্ট্রাইরকারদের সামনের সারিতে আসার স্টেপিং স্টোন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যদিও এদিন মহামেডান স্ট্রাইকারদের দশা হতশ্রী, ফলত গত মরশুমে ডেভিড লালহ্লানসাঙ্গার কথা মনে করাচ্ছিল বারেবারে ৷ লাল-হলুদের এই ফুটবলার সাদা-কালো জার্সিতে ফুল ফুটিয়েছেন গত মরশুমে ৷ প্রথমার্ধে এদিন মহামেডান এমন একটিও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি যা থেকে গোল হতে পারে। বিরতির পরে আক্রমণের সংখ্যা বাড়লেও তা গোলমুখ খোলার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। বিশেষ করে পাঁচটি কর্নার পেয়েও তার ফায়দা তুলতে ব্যর্থ হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
যদিও বৃষ্টিভেজা মাঠ সোমবার ফুটবলারদের ভালো খেলার অন্তরায় হয়ে ওঠে। মহামেডান স্পোর্টিং কোচ হাকিম সেসেনজেন্ডো জানান, তাঁরা একটা কঠিন ম্যাচ খেললেন। ফুটবলাররা ভালো খেলার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। তবে পরের ম্যাচে ভুলত্রুটি শুধরে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি। দল হিসেবে খিদিরপুর যথেষ্ট ভালো।