কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: দুই দলে একাধিক গোলস্কোরার । তা সত্ত্বেও গোলশূন্য ওড়িশা এফসি বনাম মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের ম্যাচ । স্কোরবোর্ড গোলশূন্য । পয়েন্ট টেবিলের প্রথম দুই স্থানাধিকারীর দ্বৈরথ বিবর্ণ ফুটবলে ভরা । এই ড্রয়ের ফলে 32 পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে সের্জেও লোবেরার দল । দুই পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আন্তেনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেরা ।
ব্র্যান্ডন হামিল ছাড়া পুরো দল নিয়েই ভুবনেশ্বরে গিয়েছিল মোহনবাগান । অন্যদিকে আহমেদ জাহু ছাড়া ওড়িশা এফসি নেমেছিল । এই দুই দলের লড়াই মানেই প্রাক্তনীদের দ্বৈরথ । রয় কৃষ্ণের মতো একাধিক সবুজ-মেরুন প্রাক্তনী শনিবাসরীয় ভুবনেশ্বরে হাবাসের নীল নকশা ব্যর্থ করতে নেমেছিলেন । ফিজিয়ান স্ট্রাইকারকে তাঁর একসময়ের কোচ হাবাস ভালো করে চেনেন । তাই ইউস্তে, শুভাশিসদের দিয়ে জোনাল মার্কিংয়ে ঘিরতেই কৃষ্ণ অকেজো হয়ে যান । পুরো 90 মিনিটে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি । একই ভাবে তাঁর সঙ্গী মরিসিও একটি শট বারে লাগানো ছাড়া পুরো সময়টা নিষ্প্রভ রইলেন ।
অন্যদিকে টানা তিন জয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট একটিবার ছাড়া গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি । সাদিকুকে সামনে রেখে পেত্রাতোসকে জুড়ে দিয়েছিলেন হাবাস । মাঝমাঠে জনি কাউকোর পাশে সাহাল আব্দুল সামাদ, মনবীর সিংরা থাকলেও তাঁরাও ওড়িশার রক্ষণের জাঁতাকলে আটকে গেলেন । সাদিকুর একটি সুযোগ নষ্ট ছাড়া দুই অর্ধে কোনও সময় মনে হয়নি মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট গোল করতে পারে ।
আইএসএল-এ গোলশূন্য ড্র হল ওড়িশা এফসি বনাম মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের ম্যাচ দুই কোচ স্পেনের। তাদের ফুটবল বুদ্ধিতে ম্যাচ উপভোগ্য হওয়ার বদলে মাঝমাঠের একঘেয়েমি ফুটবলে বিরক্তিকর । আসলে দুই দলই রক্ষণ সামলে জয়ের কড়ি যোগাড় করতে নেমেছিলেন । ফলে বলের দখলে দুই দলই সমান সমান । নির্ভুল পাসে এইসব ম্যাচে গোলের দরজা খোলে ৷ কিন্তু দুই দলের ফুটবলাররা তিনটে টানা সঠিক পাস খেলতে ব্যর্থ । দ্বিতীয়ার্ধে সাদিকুকে তুলে হাবাস কামিন্সকে নামিয়েছিলেন । আশিস রাইয়ের সেন্টার থেকে একটি মাত্র হেড করা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার নজর টানতে পারেননি ।
জনি কাউকো প্রত্যাবর্তনের পরে দলের মূল চালিকাশক্তি । কিন্তু শনিবার ওড়িশা রক্ষণে কড়া নজরদারিতে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি । ফলে মোহনবাগান রক্ষণের প্রত্যাশিত দাপট উধাও । একই কথা বলা যায় সাহাল আব্দুল সামাদ সম্পর্কেও । মনবীর সিং ওড়িশার সাইডব্যাকদের দাপটের সামনে কুঁকড়ে রইলেন । ফলে মুর্তাদা ফলদের অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি ।
আইএসএল-এ গোলশূন্য ড্র হল ওড়িশা এফসি বনাম মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের ম্যাচ হাবাসের বক্তব্য, তিনি দলের খেলায় খুশি । আইএসএলের ইতিহাসে ওড়িশার বিরুদ্ধে তিনি হারের স্বাদ পাননি । শনিবারের ড্র তাঁর সেই রেকর্ড অক্ষত রাখল । তবে বিবর্ণ ফুটবল চিন্তায় রাখবে । কারণ, প্রতিপক্ষের কড়া প্রশ্নপত্রের সামনে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টদের নিষ্ফলা দেখালো যে ।
আরও পড়ুন:
- জামশেদপুরে নিভল মশাল, খালিদের দলের কাছে হেরে প্রথম ছয়ের রাস্তা কঠিন লাল-হলুদের
- কলিঙ্গ জয়ের সঙ্গে শীর্ষে ওঠার কাজটা সারতে চান হাবাস
- সভাপতির অনুপস্থিতিতে বাগানের বার্ষিক সভায় দাবি উঠল ক্লাবে ট্রফি রাখার