কলকাতা, 5 মে: ইডেনের পর লখনউ। ছন্দে নাইটরা। ব্যাটে-বলে প্রয়োজনীয় ভারসাম্য দেখিয়ে কেকেআর ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। 14 পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফের দোরগোড়ায় কেকেআর। দশ ম্যাচে সাত সাত জয়ে নাইট দাপট যা প্রতিপক্ষের পক্ষে সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বারো বছর পরে জয় শুধু দলগত সংহতির ফসল ছিল না। পরস্পরকে ছাপিয়ে যাওয়ার স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা ছিল। তারই রেশ এবার লখনউ সুপারজায়ান্ট ম্যাচেও দেখা গেল।
এদিকে, 10 ওভারে চার উইকেটে 96 রান তুলে লখনউ ঘরের মাঠে বেকায়দায়। ফলে তারা বাকি ষাট বলে পাল্টা প্রত্যাঘাত না করতে পারলে নাইটদের জয়ের হ্যাটট্রিক সময়ের অপেক্ষা (এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)। কলকাতার কাছে লখনউ সুপারজায়ান্ট চিরকালীন গাঁট ছিল। 'ছিল' লেখার কারণ চলতি আইপিএলের আগে লখনউর বিরুদ্ধে কেকেআর জিততেই পারেনি। কিন্তু আঠারো দিন আগে ছবিটা বদলে যায়। ইডেনে লখনউর বিরুদ্ধে জয়ের খাতা খোলে তারা। এবার লখনউর মাটিতে জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রয়াস। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা ফের শক্ত ভিতের ওপর বড় রানের ইনিংস গড়ল। তা সম্ভব হল সুনীল নারিনের সৌজন্যে। 39 বলে 81 রানের ইনিংস সাজালেন সাত ছক্কা এবং হাফডজন বাউণ্ডারিতে।
এবারের আইপিএলে ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটারটি ইউটিলিটি প্যাকেজ হিসেবে মেলে ধরছেন। ব্যাটিং অলরাউণ্ডার বা কখনও বোলিং অলরাউণ্ডার আবার কখনও ব্যাট এবং বল হাতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মুম্বই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে জয়ের পথ তৈরি করেছিলেন। লখনউতে ব্যাট হাতে সংহার মূর্তিতে। নারাইনের পাশে যোগ্য সঙ্গত ফিল সল্টের। 14 বলে 32 রানের ইনিংস পাঁচ বাউণ্ডারি একটি ছক্কায় সাজানো । নাইটদের উইকেট কিপার-ব্যাটার যখন ডানা মেলতে শুরু করেছেন তখনই নবীন উল হকের বলে কেএল রাহুলের হাতে ধরা পড়েন।
রবিবার সন্ধ্যায় নাইটরা প্রথম ছয় ওভারে ফের সত্তর রান তোলে। যা বড় ইনিংসের ভিত গড়ে দেয়। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে নারিনকে যোগ্য সহায়তা অঙ্গকৃষ্ণ রঘুবংশীর। 26 বলে 32 রানের ইনিংসে অ্যাঙ্কর রোলের ছাপ। নারিন-অঙ্গকৃষ্ণ রঘুবংশীর জুটিতে 47 বলে 79 রান ওঠে। 12 ওভারে দুই উইকেটে 140 রান ৷ এই অবস্থা থেকে নাইট ইনিংস শেষ হয় ছয় উইকেটে 235 রানে। আন্দ্রে রাসেল এবং রিঙ্কু সিং কিন্তু অনুকুল পরিস্থিতির সুযোগ সেভাবে নিতে পারলেন না। রাসেল 8 বলে 12 রান করে ফিরে যান। রিঙ্কু সিং ফিরলেন 11 বলে 16 রান করে।