কলকাতা, 9 নভেম্বর: দাঁতচাপা লড়াই ! এএফসি’তে জয়ে ফিরলেও এই ইস্টবেঙ্গলকে দেখেননি সমর্থকরা ৷ ফলে 9 জনের লাল-হলুদ এদিন যে খেলাটা খেলল, তা সন্দেহাতীতভাবে দলকে আগামীতে অক্সিজনে যোগাবে ৷ ঠিক যেমনভাবে চিন্তায় রাখবে খেলোয়াড়দের ‘অখেলোয়াড়’সুলভ আচরণ ৷ যা ভাবাচ্ছে কোচ অস্কার ব্রুঁজোকেও ৷
আইএসএলে খাতা না খোলা দলের খেলোয়াড়রা যেভাবে মাথা গরম করলেন, তা চিন্তার ৷ ঠিক যেমনভাবে নন্দকুমার লাল কার্ড দেখার পর একটি হলুদ কার্ড দেখে বসে থাকা মহেশ বিপক্ষের ডাগ-আউট লক্ষ্য করে জলের বোতলে লাথি মারলেন, তা অপরাধ ৷ একটি হলুদ কার্ড দেখে বসে থাকা খেলোয়াড়ের এহেন আচরণে তাঁকে অবিলম্বে কড়া শাস্তি কিংবা আর্থিক জরিমানা করা উচিৎ ৷ সে কথাই শোনা গেল লাল-হলুদ কোচের মুখে ৷ সম্ভবত দুই খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ৷ পাশাপাশি মাঠ থেকে বেরনোর সময় যেভাবে বলে লাথি মারলেন নওরেম, তাঁর নির্বাসন আরও বাড়তে পারে ৷
চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন নীতু (ইটিভি ভারত)
এদিন কোচ বলেন, ‘‘রেফারিং নিয়ে কিছু বলা ঠিক না ৷ কিন্তু কার্ড, পেনাল্টি না-পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকবে ৷ আমাদের খেলোয়াড়দেরও সতর্ক হতে হবে ৷ ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে ৷ মহেশের থেকে দলের অনেক আশা রয়েছে ৷ ওদের বলেছিলাম, মাঠে যতক্ষণ থাকব সাহসী ফুটবল খেলব ৷ আমরা এদিন গোলও পেয়ে যেতে পারতাম ৷ অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে ৷ ট্র্যাকে ফিরতে দলের এই সিচুয়েশনটা দরকার ছিল ৷’’
এই ডার্বি দু'দলের কাছেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই ছিল । হাফডজন হারের পর ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে পয়েন্টের খাতা খুললো ইস্টবেঙ্গল ৷ মহমেডানও চাইছিল টানা চার ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে জয়ের সরণিতে ফিরতে । যদিও 9 জনের দলের বিরুদ্ধে গোলমুখ না-খুলতে পারা আরও লজ্জার ৷ ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত (নীতু) সরকার বলেন, ‘‘রেফারিং নিয়ে চক্রান্ত চলছে আমাদের বিরুদ্ধে । ভালো রেফারিং হলে কী হয় তা এএফসিতে দেখা গিয়েছে ।’’ অন্যদিকে কামারউদ্দিন বলেন, ‘‘অস্কার ব্রুঁজোর স্ট্র্যাটেজির কাছে আটকে গেলাম । কোচ কী করবে । ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা ।’’