কলকাতা, 29 ফেব্রুয়ারি: যত কাণ্ড সিএবি লিগে । ম্যাচ গড়াপেটার গুরুতর অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে সিএবি । প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,“অভিযোগ পেয়েছি । আমরা আম্পায়ার এবং অবজার্ভারের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি । বুধবার অর্থাৎ 6 মার্চ বৈঠক ডাকা হয়েছে । সেখানেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।” টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নীতিশ রঞ্জন (অনু) দত্ত জানিয়েছেন, আম্পায়ার এবং অবজার্ভারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি ৷
ময়দানের অভিযোগ, কলুসিত ম্যাচে জড়িত সিএবি যুগ্ম-সচিবের ক্লাব । স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতি বিজড়িত টাউন ক্লাবের চাপেই নাকি মহমেডান স্পোর্টিং এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে । কারণ, সাদা-কালো শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা নাকি হর্ষিত সাইনি বলে একজন অবৈধ ক্রিকেটারকে খেলাচ্ছে । তাঁর বিরুদ্ধে টাউন ক্লাব অভিযোগ জমা করে । বলা হয়, হরিয়ানার ক্রিকেটার হর্ষিতকে সিএবির আইন না-মেনে খেলাচ্ছে মহমেডান স্পোর্টিং ।
এরপর থেকেই চাপের খেলা শুরু হয় । যুগ্ম-সচিবের ক্লাবের তরফে পয়েন্ট ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় । না-হলে ভুগতে হবে বলে কার্যত হুমকিও দেওয়া হয় । যদিও সিএবির যুগ্ম-সচিব এবং টাউন ক্লাবের কর্তা দেবব্রত দাস জানিয়েছেন, তিনি প্রথম দিকে কিছুক্ষণ মাঠে থেকে চলে এসেছিলেন । তারপর কি হয়েছে জানা নেই । তবে বিষয়টি নিয়ে খবর নেবেন । সিএবির নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম সুপার ডিভিশন লিগে প্রথম ইনিংসে কোনও দল এগিয়ে থাকলে তারা সাত পয়েন্ট পায় । প্রতিপক্ষ যদি দ্বিতীয় ইনিংসে আড়াইশো রান করে তাহলে তারা বোনাস হিসেবে এক পয়েন্ট পায় । সেক্ষেত্রে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার জন্য বিজয়ী দল ছয় পয়েন্ট পাবে । তেমনই দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিপক্ষের পাঁচ উইকেট ফেলে দিতে পারলে বোনাস হিসেবে এক পয়েন্ট পাওয়া যায় । বুধবার মহমেডানের যখন দুশো রানের কাছাকাছি লিড ছিল তখন ডিক্লেয়ার করা হয়নি । ডিক্লেয়ার করা হয় পরের ওভারে আরও একটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে । এখানেই প্রশ্ন । বলা হচ্ছে প্রতিপক্ষ টাউন ক্লাবকে বাড়তি এক পয়েন্ট দিতেই এই কাজ করা হয়েছে ।