কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় শুরু বাজেট অধিবেশন ৷ আগামী 8 ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় 2024-25 অর্থবর্ষের বাজেট পেশ হবে ৷ কিন্তু, এ খবর লেখা পর্যন্ত সরকার বা নবান্নের তরফে কোনও চিঠি বা বাজেটের কপি রাজভবনে এসে পৌঁছায়নি ৷ রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামিকাল নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷
নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপালের অনুমতি ছাড়া বাজেট অধিবেশন শুরু করা যায় না ৷ ফলে, রাজ্যপালের অনুমতি ছাড়া বাজেট অধিবেশন শুরু হলে, তা কতটা আইনসঙ্গত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ যদিও রাজভবন সূত্রের দাবি, "আগামিকাল বাজেট শুরুর আগে পর্যন্ত রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের চিঠি বা বাজেট কপি পাওয়ার অপেক্ষায় থাকবেন ৷ না-পেলে বা তাঁর অনুমতি ছাড়া বাজেট অধিবেশন শুরু হলে, আইনত পদক্ষেপ নিতে পারেন ৷" রাজভবনের অনুমতি ছাড়া বাজেট শুরু করা যায় কি না তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। এভাবে অধিবেশন শুরু করতে হলে কী কী কারণ থাকা প্রয়োজন তা নিয়ে অভিজ্ঞ আধিকারিকদের মতও জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল ৷ প্রয়োজনে আইনজ্ঞদের পরামর্শও নেওয়া হতে পারে বলে খবর।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সাধারণত রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই বাজেট অধিবেশন শুরু হয় ৷ সেই ভাষণের কপিও সরকারের তরফে রাজভবনে পাঠানো হয় ৷ রাজ্য সরকারের তৈরি করা ভাষণ বিধানসভায় পড়ে শোনান রাজ্যপাল ৷ এক্ষেত্রে, রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানাতে হয় বিধানসভার তরফে ৷ কিন্তু, আজ পর্যন্ত নবান্ন বা বিধানসভার তরফে কোনও আমন্ত্রণপত্র রাজভবনে এসে পৌঁছায়নি ৷ তাহলে কি, রাজভবনকে অন্ধকারে রেখেই বাজেট পেশ করতে চলেছে সরকার ? এমনই গুঞ্জন রাজভবনে ৷
গত ডিসেম্বর মাসে শীতকালীন অধিবেশন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়নি ৷ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অধিবেশন মুলতুবি করে দিয়েছিলেন ৷ তারই সূত্র ধরেই নতুন বছরের অধিবেশন শুরু হচ্ছে ৷ ফলে, একে বাজেট অধিবেশন বলা যেতেও পারে, আবার নাও পারে ৷ প্রশ্ন উঠছে, এই যুক্তিতেই কি ডাকা হচ্ছে না রাজ্যপালকে ? ফলে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিধানসভার অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণও থাকছে না ৷ তার বদলে শোকপ্রস্তাব পাঠের মাধ্যমে সোমবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে ৷
আরও পড়ুন:
- অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শুরু করে করছে কেন্দ্র, অভিযোগ তৃণমূলের
- মেয়াদ বাড়ল না দেবাশিসের, আপাতত বিশেষ সচিব শূন্য রাজ্যপাল
- দিল্লির বঙ্গভবন 'পরিষ্কার-পরিপাটি' নয়! না-থাকার কারণ দর্শালেন রাজ্যপাল