পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / politics

মালদায় 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা', বিচারবোধের লড়াইয়ে বাংলাবাসীকে সঙ্গ দেওয়ার ডাক রাহুলের - ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা

Rahul Gandhi's Bharat Jodo Nyaya Yatra in Malda: রতুয়া থেকে মালদা শহর পর্যন্ত রাহুল গান্ধিকে নিয়ে উচ্ছ্বাস মানুষের মধ্যে ৷ তাঁকে দেখার জন্য উপচে পড়ল মানুষের ভিড় ৷ আর সেই ভালোবাসার অভিবাদনও করলেন কংগ্রেস সাংসদ ৷ বিচার ও চিন্তাধারার লড়াইয়ে বাংলার মানুষের সমর্থন চাইলেন তিনি ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 31, 2024, 9:50 PM IST

বিচারবোধের লড়াইয়ে বাংলাবাসীকে সঙ্গ দেওয়ার ডাক রাহুলের

মালদা, 31 জানুয়ারি: সকালে তাঁকে কাছে না-পাওয়ায় মানুষের ক্ষোভ ছিল ৷ মধ্যাহ্নভোজ পর মানুষের সেই ক্ষোভ বদলে গেল উচ্ছ্বাসে ৷ রতুয়ার দেবীপুর থেকে শুরু করে মালদা শহর পেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মানুষের উচ্ছ্বাসে ভেসে গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ৷ বুধের সকালটা যদিও মালদা শহর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে ছিল ৷ তবে, সন্ধেটা অবশ্যই রাহুলের ৷ মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্র ফোয়ারা মোড়ে তিনি মিনিট সাতেকের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও রাখেন ৷

রাহুলের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' মালদা জেলায় প্রবেশের পর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত ৷ নিরাপত্তার কারণে হরিশ্চন্দ্রপুরের তেলজন্নায় তাঁর জনসংযোগ বার্তা বাতিল করা হয় ৷ এমনকি বিহার-বাংলা সীমানায় দলীয় ঝান্ডা বাসের মাথাতেই হাতবদল করেন দুই রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা ৷ এরপর হরিশ্চন্দ্রপুরের দিল্লি দেওয়ানগঞ্জে তাঁর গাড়ির পিছনের কাচ ভাঙচুর করা হয় ৷ সেই ঘটনায় প্রশাসনকেই দায়ী করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ৷ যদিও বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বাংলায় নয়, রাহুলের গাড়ির কাচ ভেঙেছে বিহারে ৷ একই কথা বলেন, কংগ্রেসের জাতীয়স্তরের নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে ৷

এই আবহেই রতুয়ার দেবীপুর থেকে শুরু হয় ন্যায় যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব ৷ এখানে পুরোপুরি অন্য ছবি ৷ প্রথম থেকেই বাসের জানালায় রাহুল ৷ রাস্তায় জনপ্লাবন দেখে প্রায় সবসময় হাত নেড়ে গিয়েছেন তিনি ৷ মাঝেমধ্যে থমকেছে তাঁর কনভয় ৷ কখনও খোলা গাড়িতে চেপে বসেছেন ৷ এভাবেই সন্ধেয় হুড খোলা লাল জিপে মালদা শহরে প্রবেশ করেন ওয়েনাড়ের সাংসদ ৷ শহরের রাস্তাতেও জনপ্লাবন রাহুলকে দেখতে ৷ মানুষের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে, ফুলের তোড়া গ্রহণ করে এগোতে থাকেন রাহুল ৷ কনভয় এগিয়ে যায় ফোয়ারা মোড়ের দিকে ৷ সেখানেই থেমে যায় রাহুলের গাড়ি ৷

ফোয়ারা মোড়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রাহুল বলেন, “মালদার মানুষ যেভাবে আমাকে স্বাগত জানিয়েছে, তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ৷ মানুষের সঙ্গে মিলিত হতেই আমরা ভারত জোড়ো যাত্রা করেছিলাম ৷ বিজেপি-আরএসএস দেশে 24 ঘণ্টা হিংসা আর ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে ৷ সংবাদমাধ্যমকেও তারা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছে ৷ তাই আমরা কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত চার হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা করে দেশে প্রেমের বার্তা দিতে চেয়েছিলাম ৷

রাহুল বলেন, "আগের যাত্রায় আমাদের স্লোগান ছিল, 'নফরত কা বাজার মে, মহব্বত কি দুকান খুলনি হ্যায়' ৷ আমরা তারই চেষ্টা করে যাচ্ছি ৷ ঘৃণা আর হিংসার মাধ্যমে কখনই দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে না ৷ ভালোবাসা, সম্মান আর ভাতৃত্ববোধের মাধ্যমেই দেশের উন্নতি সম্ভব ৷ তখন অনেকেই আমাকে বলেছিলেন, কন্যাকুমারি থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত আমি যাত্রা করলে, বাংলা, অসম-সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে কী হবে ! তাঁরা আমাকে মণিপুর থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত দ্বিতীয় যাত্রা করার আবেদন জানিয়েছিলেন ৷ তাই আমি মণিপুর থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত এই যাত্রা শুরু করেছি ৷ আমরা এই যাত্রায় ন্যায় শব্দটি জুড়ে দিয়েছি ৷ কারণ, বর্তমানে দেশে বিভিন্ন ধরনের অন্যায় চলছে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. রাহুলের গাড়ির কাচ ভাঙার প্রভাব পড়বে না বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’য়, মন্তব্য জয়রাম রমেশের
  2. বাংলায় নয়, রাহুলের গাড়ির কাঁচ ভেঙেছে বিহারে; দাবি মমতার
  3. মালদায় ভাঙল রাহুলের গাড়ির কাচ, নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

ABOUT THE AUTHOR

...view details