মালদা, 31 জানুয়ারি: সকালে তাঁকে কাছে না-পাওয়ায় মানুষের ক্ষোভ ছিল ৷ মধ্যাহ্নভোজ পর মানুষের সেই ক্ষোভ বদলে গেল উচ্ছ্বাসে ৷ রতুয়ার দেবীপুর থেকে শুরু করে মালদা শহর পেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মানুষের উচ্ছ্বাসে ভেসে গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ৷ বুধের সকালটা যদিও মালদা শহর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে ছিল ৷ তবে, সন্ধেটা অবশ্যই রাহুলের ৷ মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্র ফোয়ারা মোড়ে তিনি মিনিট সাতেকের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও রাখেন ৷
রাহুলের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' মালদা জেলায় প্রবেশের পর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত ৷ নিরাপত্তার কারণে হরিশ্চন্দ্রপুরের তেলজন্নায় তাঁর জনসংযোগ বার্তা বাতিল করা হয় ৷ এমনকি বিহার-বাংলা সীমানায় দলীয় ঝান্ডা বাসের মাথাতেই হাতবদল করেন দুই রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা ৷ এরপর হরিশ্চন্দ্রপুরের দিল্লি দেওয়ানগঞ্জে তাঁর গাড়ির পিছনের কাচ ভাঙচুর করা হয় ৷ সেই ঘটনায় প্রশাসনকেই দায়ী করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ৷ যদিও বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বাংলায় নয়, রাহুলের গাড়ির কাচ ভেঙেছে বিহারে ৷ একই কথা বলেন, কংগ্রেসের জাতীয়স্তরের নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে ৷
এই আবহেই রতুয়ার দেবীপুর থেকে শুরু হয় ন্যায় যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব ৷ এখানে পুরোপুরি অন্য ছবি ৷ প্রথম থেকেই বাসের জানালায় রাহুল ৷ রাস্তায় জনপ্লাবন দেখে প্রায় সবসময় হাত নেড়ে গিয়েছেন তিনি ৷ মাঝেমধ্যে থমকেছে তাঁর কনভয় ৷ কখনও খোলা গাড়িতে চেপে বসেছেন ৷ এভাবেই সন্ধেয় হুড খোলা লাল জিপে মালদা শহরে প্রবেশ করেন ওয়েনাড়ের সাংসদ ৷ শহরের রাস্তাতেও জনপ্লাবন রাহুলকে দেখতে ৷ মানুষের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে, ফুলের তোড়া গ্রহণ করে এগোতে থাকেন রাহুল ৷ কনভয় এগিয়ে যায় ফোয়ারা মোড়ের দিকে ৷ সেখানেই থেমে যায় রাহুলের গাড়ি ৷