কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটি (PEC) গঠন করল সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি ৷ সোমবার সন্ধের পরে সেই কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে । এই বিষয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে 24 সদস্যের ওই কমিটির সম্মতি দিয়েছেন । এই সদস্যরা রাজ্যের 42টি আসনে কংগ্রেসের নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন । ঠিক একইভাবে মহিলা কংগ্রেস, কংগ্রেস ছাত্র ও যুব এবং সেবাদল একজন করে মোট 4 জনকে এক্স অফিসো মেম্বার হিসেবে রাখা হয়েছে । আর 24 জনের নির্বাচনী কমিটির শীর্ষে রাখা হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে । তারপরেই আছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, দীপা দাশমুন্সি, আবু হাসেম খান চৌধুরী, ডিপি সিং ও আব্দুল মান্নান প্রমুখ ।
এদিকে আসন রফার আগেই গত জানুয়ারির শুরুতেই 42 কেন্দ্রে কো-অর্ডিনেটরের নাম ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস । যা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে ক্ষোভ জন্মেছিল । কিন্তু, নির্বাচনী কমিটি নিয়ে এখনও পর্যন্ত বেসুরো হতে দেখা যায়নি দলীয় নেতৃত্বের কাউকেই ।
তবে, ইন্ডিয়া জোট শরিক তথা এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে কোনও আসন রফার আগেই 42 কেন্দ্রে কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ নিয়েও জল্পনা শুরু হয় । পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একলা লড়ার বার্তায় সেই জল্পনা আরও স্পষ্ট হয় । বঙ্গে রাহুলের ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রার পর বঙ্গে জোটের ভবিষ্যত একরকম স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে । তারা কোনওভাবেই যে শাসক তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে চান না দিল্লির কাছে তা বারবার জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী । যদিও মাঝে বঙ্গে এসে জোট নিয়ে জয়রাম রমেশ ও শশী থারুরের বক্তব্য জল্পনা উস্কে দিয়েছিল । কংগ্রেস তৃণমূলের মুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছে বলেও রাজনৈতিক মহলে কটাক্ষ শোনা যায় । তারপরও ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীদের যোগ দেওয়া এবং তৃণমূলের অনুপস্থিতি অন্য মাত্রা দেয় । শেষ পর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার ৷
আরও পড়ুন :
- বাংলার পুলিশ অন্ধ, রাহুলের গাড়ির কাচ ভাঙায় প্রশাসনকেই দায়ী করলেন অধীর
- অধীরের জন্যই রাহুলের ন্যায় যাত্রায় বাধা সৃষ্টি, তৃণমূল বললেই সরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ বহরমপুরের সাংসদের
- রাহুলের ন্যায় যাত্রার ঘিরে জট , 'রাজনৈতিক অসভ্যতা' বলে কটাক্ষ অধীরের