আসানসোল, 17 নভেম্বর: দুই প্রতিবেশীর বাড়ির মাঝে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে বচসা ৷ আর সেই বচসা এমন পর্যায়ে পৌঁছল যে, হাতাহাতি থেকে তরোয়াল নিয়ে হামলা ও সবশেষে গুলি পর্যন্ত চললো ! ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত কুলটি থানার বরাকর ফাঁড়ির অন্তর্গত মনবেড়িয়া এলাকা ৷ ঘটনায় একই পরিবারের 3 জন গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন ৷
অভিযোগ, একটি পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীদের মধ্যে অশান্তির শুরু ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রাস্তার ধারে পাঁচিল তোলা হচ্ছে কেন, এই প্রশ্ন করায় প্রতিবেশী যুবকের দিকে তেড়ে যান মহম্মদ নইম আখতার ৷ তাঁর হাতে ছিল তরোয়াল। আশেপাশের লোকজন প্রথমে তাঁদের শান্ত করিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় ৷ এর কিছুক্ষণ পর, ফের দুই তরফে নতুন করে গণ্ডগোল শুরু হয় ৷ তখন দেখা য়ায় দুই পরিবারের বাকি সদস্যরাও গোলামালে জড়িয়ে পড়েছেন।
আহত মহম্মদ সাহিদ অভিযোগ করেছেন, "মহম্মদ নইম আখতার নামে আমাদের এক প্রতিবেশী বাড়ির পাশে একটি দেওয়াল তৈরি করছিলেন ৷ সেই দেওয়াল নিয়ে জিজ্ঞাসা করাতেই নইম আখতার ও তাঁর ছেলেরা মারমুখী হয়ে ওঠে ৷ রড-তরোয়াল নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ চালানো হয় ৷ এমনকী বাড়ির ভিতর থেকে তিন রাউন্ড শূন্যে গুলিও চালানো হয়েছে ৷ যদিও, গুলি কারও লাগেনি ৷"
খবর পেয়ে বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ৷ পুলিশ নইম আখতারের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে বলে খবর ৷ অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে বরাকর-কল্যাণেশ্বরী রাস্তায় মনবেড়িয়া মোড়ের কাছে অবরোধ শুরু করেন মহম্মদ সাহিদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত নইম আখতারকে গ্রেফতার করে কড়া শাস্তি দিতে হবে ৷
এলাকাবাসীদের একাংশের অভিযোগ, সামান্য একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে নইম আখতার এবং তাঁর ছেলেরা রড-তরোয়াল নিয়ে প্রতিবেশীদের উপর আক্রমণ করেছে ৷ অকারণে গুলিও চালিয়েছে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ কিন্তু, অকারণে গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা ৷