কলকাতা, 26 ফেব্রুয়ারি: লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতে আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তার আগে আগামী 10 মার্চ ব্রিগেডে 'জনগর্জন সভা' করে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সূচনা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তৃণমূলের এই জনগর্জন সভাকেও নিশানা করেছে বিরোধীরা ৷ আদৌ সেই সভা থেকে তৃণমূলের সুবিধা হবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা ৷
কেন্দ্রের 100 দিনের কাজের পাওনা টাকা থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করতে এবার ব্রিগেডে তৃণমূলের মেগা সভা। বিভিন্ন সময় কর্মসূচি বা সমাবেশের নামে তৃণমূলের নতুনত্ব থেকেছে বরাবরই। আর এবার জনতার উদ্যেশ্যে 'জনগর্জন সভা' নামে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। রবিবার নিজের সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচির বিষয় পোস্টও করেছেন।
আর তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা শুরু করেছে তীব্র সমালোচনা। এই বিষয় রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপির পক্ষ থেকে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, "যে দলের এখন এই নড়বড়ে অবস্থা তাতে সমস্ত কর্মীরা সব শুয়ে-বসে আছে। তাই দলের কর্মীদের মধ্যে মনবল বারবার জন্য এই তর্জ্জন-গর্জ্জন করছে। জনাধার তো কমেই গিয়েছে। জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। নেতা-কর্মীরাও হতাশ। তাই তৃণমূলের গর্জন করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।"
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘মুরোদ থাকলে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার না করে সরকারি গাড়ি আর কাটমানি টাকা ছাড়া জমায়েত করে দেখাক। ব্রিগেড কেন শহিদ মিনারও ভরাতে পারবে না।’’ কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সন্দেশখালিতে যখন 10 বছর ধরে অত্যাচার চলল তখন এই গর্জন কোথায় ছিল ? এতদিন ধরে যে সমস্ত চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় বসে আছে, তখন গর্জন কোথায় গেল ? তাদের যে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে গর্জন নেই কেন ? তৃণমূলের গর্জন মানে বিজেপির সুবিধা। আর বিজেপির গর্জন মানে তৃণমূলের সুবিধা। কিন্তু, সাধারণের গর্জনে এই দুই দলকে ময়দান থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।"