কলকাতা, 26 ফেব্রুয়ারি:সন্দেশখালি ইস্যুতে লোকসভা ভোটের আগে ধারাবাহিক কর্মসূচির পরিকল্পনা বামফ্রন্টের । ছাত্র, যুব, খেতমজুর, দিনমজুর, মৎস্যজীবী একাধিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ধারাবাহিক সভা সমাবেশের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে ।
রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, "সন্দেশখালি এলাকার সমস্ত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের দাবিতে এবং নিরাপরাধ মানুষের মুক্তির দাবিতে সন্দেশখালিতে সমাবেশ করা হবে । সন্দেশখালির ঘটনা প্রমাণ করছে যে সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে তা একটা ফোঁড়া । যা প্রথমে বোঝা যায় না । এখন তা পেকে গিয়েছে বলে ফেটে বেরিয়ে গিয়েছে ।"
এ দিকে আগামী 29 তারিখ সন্দেশখালিতে যাবে সিপিএম প্রতিনিধি দল । মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক গণসংগঠনের নেতারা সে দিন সন্দেশখালিতে যাবেন । সঙ্গে যাবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও । সেলিম জানিয়েছেন, "সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে নিয়ে 29 তারিখ সন্দেশখালি যাব আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে ।"
সিপিএম সূত্রে আরও খবর, 29 তারিখের পর স্থানীয়দের জমি ফেরাতে ধারাবাহিক আন্দলন শুরু করা হবে । সেই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে বামফ্রন্টের সমাবেশ করার কথা ভাবা হচ্ছে । প্রাথমিকভাবে 10 মার্চ সন্দেশখালি 2 নম্বর ব্লকে সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে ।
সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য এবং সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফাতার করা হয়েছে আগেই । আজ 26 ফেব্রুয়ারি বসিরহাট আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে । মহম্মদ সেলিম সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বলেন, "শনিবার ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দ সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন । আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন । তাঁদের সমস্যার কথা শুনেছেন । যদিও পুলিশ নির্লজ্জভাবে বাধা দিয়েছিল । কিন্তু, ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব পুলিশের চোখে চোখ রেখে 4 দিন সময় দিয়ে এসেছে । অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে । 23 জন মহিলার লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন পুলিশকে । তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছেন যে, ব্যবস্থা না-হলে হাইকোর্টে যাওয়া হবে ।"
আরও পড়ুন:
- সিপিএম নেতার গ্রেফতারি, রাজ্যজুড়ে বামফ্রন্টকে আন্দোলনে নামার আহ্বান বিমানের
- কেন্দ্রীয় বঞ্চনা-এজেন্সির অপব্যবহারের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির পথে বামফ্রন্ট
- 'রামরাজ্য' প্রসঙ্গে রাজ্যপাল ও তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ সেলিমের